প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
শ্যামলবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি ও কোতুলপুরের মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি নার্সিংহোমকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রস্তুতির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা প্রস্তুতির কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও কোতুলপুরের একটি নার্সিংহোমকে নেয় জেলা প্রশাসন। তাই বর্তমান পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এদিন সকালে অতিরিক্ত জেলাশাসক শঙ্কর নস্কর, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন ও মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হাজির হন। আলোচনায় ঠিক হয়, ওন্দায় প্রাথমিকভাবে ২৫০টি বেডের ব্যবস্থা করা হবে। যার মধ্যে ১০টি সিসিইউ ও ১৬টিতে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকবে। সেইমতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও চতুর্থশ্রেণীর কর্মীর একটি সাম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথমে ওন্দা সুপার স্পেশালিটির চিকিৎসক ও নার্সদের দিয়েই কাজ শুরু করা হবে। পরবর্তী সময়ে রোগীর চাপ বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক ও অন্যান্য সহযোগী কর্মীর ব্যবস্থা করা হবে।
কোতুলপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজু মিশ্র, বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক মানস মণ্ডল ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। তারপর সেখানে ৫৪টি বেড চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। যারমধ্যে ৪টি সিসিইউ ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে দু’টি জায়গাতেই বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এই দু’টি করোনা হাসপাতাল ছাড়াও বর্তমানে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫ বেডের ও খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু রয়েছে। যদিও এদিন দুপুর পর্যন্ত জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে কেউ ভর্তি নেই বলে স্বাস্থ্য প্রশাসন জানিয়েছে। অন্যদিকে, এদিনও জেলা স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রশাসন, পুলিস ও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জেলার বিভিন্ন ব্লকে লকডাউনের কারণে সঙ্কটের মুখে পড়া গরিব মানুষের হাতে চাল, ডাল, আলু তুলে দেওয়া হয়।