আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কানকিতে ৩১ নং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসের যাত্রী ছিলেন মধ্যবয়সী তিন বোন। রীতা বিশ্বাস, নীতা গোমস ও সুমিতা মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রীতা। নীতার ১৪ বছর বয়সের এক মেয়ে দেবস্মিতা গোমসও বাসে ছিল। তিনটি সিট পর বসেছিলেন নীতা ও তাঁর মেয়ে। বাসের মাঝামাঝি পাশাপাশি বসেছিলেন রীতা ও সুমিতা। রীতা ছিলেন জানালার ধারের সিটে। তিনিই বোনদের মধ্যে সবার বড়। তিন বোনই শিক্ষকতা করেন। রীতাদেবী প্রাথমিকে এবং বাকি দুই বোন মিশনারি স্কুলে পড়ান। কলকাতার এয়ারপোর্টের কাছে ইটেলগছ এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। গরমের ছুটিতে দার্জিলিং বেড়ানোর জন্য দক্ষিণ থেকে উত্তরে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাই শেষ যাত্রা হল দিদির। সুমিতা বলেন, আমি ও দিদি পাশাপাশি বসেছিলাম। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বলেছিল খুব ঠান্ডা লাগছে, তুই আমার দিকে আসবি? নিজেই আবার বলেছিল, পায়ের নীচে ব্যাগ আছে, আমি এখানেই থাকছি। এখন মনে হচ্ছে, আমার মৃত্যুর ফাঁড়া ও নিয়ে চলে গেল। তিনি আরও বলেন, বাস উল্টে যাওয়ার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা উপরে বিভিন্ন জিনিস পড়ছিল। ‘হেল্প করো’ বলে চিৎকার করেছিলাম। ইশ্বরের কৃপায় জানালা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। দিদি হয়তো সেটা করতে পারেনি।