বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা দেবেন্দ্র। পুলিস জানিয়েছে, বুধবার দিল্লির কাছে বাপরোলায় গোপন ডেরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণ ও খুনের একাধিক মামলায় আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল দেবেন্দ্র। অন্তঃরাজ্য কিডনি পাচার চক্র ও ভুয়ো গ্যাস এজেন্সি চালানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খুনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল তার। ঠিকানা ছিল জয়পুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। ১৬ বছর জেল খাটে সে। জানুয়ারি মাসে ২০ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল দেবেন্দ্র। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই গা ঢাকা দেয় সে।
প্রথমে দেবেন্দ্র যায় গ্রামের বাড়িতে। পরে দিল্লির মোহন গার্ডেনে এক শাগরেদের আস্তানায় গিয়ে ওঠে। সেখান থেকে পালিয়ে বাপরোলা। এখানে দূর সম্পর্কের বিধবা আত্মীয়াকে বিয়ে করে নতুন সংসার পাতে দেবেন্দ্র। এখানেই ধরা পড়ে ‘চিকিৎসক’। এত মানুষকে খুন করা সত্ত্বেও জেরার সময় এতটুকু বিচলিত হয়নি সে। বরং ঠান্ডা মাথায় বলে গিয়েছে অপরাধের বিস্তারিত কাহিনী। যা শুনে তাজ্জব তদন্তকারীরা।
কীভাবে একজন চিকিৎসক ‘সিরিয়াল কিলার’ হয়ে উঠল? দেবেন্দ্রর কু-কীর্তি ঘেঁটে পুলিস জানতে পারে, বিহারের সিওয়ান থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি পেয়েছিল দেবেন্দ্র। ১৯৮৪ সালে জয়পুরে একটি ক্লিনিকও চালু করে। কিছুদিনের মধ্যেই অন্তঃরাজ্য কিডনি পাচার চক্রের বড়সড় পাণ্ডা হয়ে ওঠে সে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বেআইনিভাবে ১২৫টির বেশি কিডনি প্রতিস্থাপন করে। প্রতি ক্ষেত্রেই মিলত ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। এরই মধ্যে গ্যাস ডিলারশিপের জন্য ১১ লক্ষ টাকা লগ্নি করে। কিন্তু প্রতারণায় ফেঁসে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে দেবেন্দ্র।
এরপরই একের পর এক অপরাধের শুরু। ট্রাক চালকদের খুন করে এলপিজি সিলিন্ডার লুট করতে শুরু করে দেবেন্দ্রর গ্যাং। সেই দিয়েই ১৯৯৫ সালে আলিগড়ের ছারা গ্রামে খোলে ভুয়ো গ্যাস এজেন্সি। ২০০৩ থেকে অন্য অপরাধ...। শাগরেদদের কাজে লাগিয়ে জয়পুর থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করত দেবেন্দ্র। যেত আলিগড়ে। তারপর সেই ট্যাক্সির চালকদের পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন করত। এরপর কাশগঞ্জের হাজারা খালে থাকা কুমিরদের খাইয়ে দিত তাঁদের দেহ। আর ট্যাক্সিগুলি চোরাই বাজারে বিক্রি করত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, এবার এই খুনি চিকিৎসককে জয়পুর পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হবে।