বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
সদ্য বরখাস্ত উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবিরের বিদ্রোহের জেরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কুর্সি অনিশ্চয়তার মুখে। বিএসপির ছয় বিধায়কের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মরুরাজ্যে শেষ পর্যন্ত গেহলটের কংগ্রেস সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কি না, এই ইস্যুটির উপর তা অনেকটাই নির্ভর করবে। রাজস্থান বিএসপিকে গত সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন এই ছয় বিধায়ক। পাইলট শিবিরের বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য প্রাক্তন ছয় বিএসপি বিধায়কের সমর্থন যে কোনও মূল্যে ধরে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে। দীর্ঘ সংঘাতের পর অবশেষে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। ১৪ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা অধিবেশন। শেষ পর্যন্ত গতিপ্রকৃতি আস্থাভোটের দিকে গড়ালে বিএসপির এই প্রাক্তন ছয় বিধায়কের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই পরিস্থিতিতেই তাঁদের কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানালেন বিজেপি নেতা মদন মদন দিলাবর। আবেদন জানানো হয়েছে বিএসপির তরফেও। দু’টি আবেদনেই বলা হয়েছে, শুধুমাত্র একটি রাজ্যে দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না এই ছয় বিধায়ক। কারণ বিএসপি একটি জাতীয় দল। কংগ্রেসকে ‘শিক্ষা’ দিতে চাইছেন ক্ষুব্ধ বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও। এবিষয়ে তিনি বলেন, বিএসপি আগেই আদালতে যেতে পারত। কিন্তু কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা সহজে ছাড়ব না। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়া হবে।
এদিকে, এদিনও মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে সরকার ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তিনি ফের বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন রাজস্থানে কী হচ্ছে সেটা দেখেন। তাঁর অধিবেশন ডাকার অনুরোধ মেনে নেওয়ায় রাজ্যপালকে এদিন ধন্যবাদ দিয়েছেন গেহলট। বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্রোহী পাইলট শিবিরের বিধায়করাও। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কংগ্রেসের হুইপ অমান্য করে অধিবেশনে যোগ না দিলে পদ খোয়াতে পারেন বিদ্রোহীরা। প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে গেহলট।-পিটিআই