উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
শ্যামলবাবুর মৃত্যুতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রবীণ পলিটব্যুরোর সদস্য বিমান বসু সহ বাম শিবিরের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ শোক ব্যক্ত করেছেন। আদর্শগত মতপার্থক্য থাকলেও পূর্ণ সৌজন্য দেখিয়ে শ্যামলবাবুর প্রয়াণকে বাংলার রাজনৈতিক ক্ষতি বলে বর্ণনা করে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উষশীকেও ফোন করেন তিনি। শ্যামলবাবুকে ছাত্র ও শ্রমিক আন্দোলনের একজন নিষ্ঠাবান নেতা ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে সমবেদনা জানিয়েছেন তৃণমূলের তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। জোটসঙ্গী কংগ্রেসের তরফে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্না, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও অধীররঞ্জন চৌধুরীও শোকজ্ঞাপন করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পূর্ববঙ্গের আদি বাসিন্দা শ্যামলবাবু স্কুলজীবনেই এপার বাংলায় আসেন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথমে দমদম মতিঝিল থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও পরে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হন। স্নাতকোত্তর শিক্ষা তাঁর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া থাকাকালীন ছয়ের দশকের মাঝ পর্ব থেকে উত্তুঙ্গ বাম ছাত্র রাজনীতির অন্যতম যোদ্ধা হয়ে ওঠেন শ্যামলবাবু। পরবর্তীকালে এসএফআইয়ের রাজ্য ও সর্বভারতীয় নেতৃত্বে যান তিনি। বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে জ্যোতি বসুর ক্যাবিনেটের পরিবহণমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান অনেক বছর। একই সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের মুখ হয়ে সিটুর রাজ্য ও জাতীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় পদেও ছিলেন। আমৃত্যু ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। গত ২৫-২৬ জুলাই বাংলার অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলিমুদ্দিনে বসে কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন পার্টির এই নেতা।