উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
আনলক পর্ব তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যে বাস-দুর্ভোগের ছবির বদল হয়নি। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ব্যাপক টানাপোড়েন চলেছে। একদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মালিকরা। বসে গিয়েছে বিভিন্ন রুটের বহু বেসরকারি বাস-মিনিবাস। পরিবহণ শ্রমিকদের অবস্থাও শোচনীয়। সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের এই যন্ত্রণা লাঘবে শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার বাস-মিনিবাস পিছু মাসে ১৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিন মাসের সেই অস্থায়ী ব্যবস্থা মানতে চায়নি বাসমালিক সংগঠনগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিকল্প হিসেবে এই কর ছাড়ের দাবি করা হয়। সেই দাবি মেনে নেওয়া হল। রাস্তায় বেরিয়ে মানুষ যাতে বেসরকারি বাস পান, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে রাজ্যের কোষাগারের দিকে তাকিয়ে সম্পন্ন বাস মালিকদের এই সুবিধা না নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চালাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেলস আইন, ১৯৭১ অনুযায়ী বেসরকারি সাধারণ বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কর মকুব করা হল। একই সময়ের জন্য দূরপাল্লার বাসের অতিরিক্ত করও দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, পারমিট ফিতে পর্যন্ত এক বছরের ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি গত ৩১ মার্চের মধ্যে যাঁরা কর দেননি, তাঁদের আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সেই বকেয়া জমা দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও জরিমানা দিতে হবে না। পরবর্তী ছ’মাসের জন্য তাঁরা এই কর ছাড়ের আওতাতেও পড়ে যাবেন। সাধারণত বেসরকারি বাস-মিনিবাসগুলিকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ টাকা রোড ট্যাক্স দিতে হয়। দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে তা কমবেশি ৪ হাজার ২০০ টাকা। এক বছরের পারমিট ফি বাবদ দিতে হয় হাজার টাকা। এর আগে অন্য বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য বকেয়া করের জরিমানা মকুব করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বহুদিন ধরে সরকারের কাছে কর মকুবের দাবি জানিয়ে আসছি। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। তবে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকারের কাছে অনুরোধ, এই দাবিটি নিয়ে বিবেচনা করে দেখা হোক। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ও। তবে সরকারকে সংগঠনের অন্য দাবিগুলিও বিবেচনার অনুরোধ করেছেন তিনিও।