যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
চলতি লোকসভার ভোটে মুখ্য না হলেও ঘুরেফিরে চিটফান্ডকাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে যুযুধান দলগুলির প্রচারপর্বে। একদিকে যেমন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ইস্যুতে নিশানা করেছেন রাজ্যের শাসক দলের সুপ্রিমোকে, তেমনই মমতাও পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে সিপিএম এবং কংগ্রেস গত বিধানসভার ভোটের মতো এবারের লোকসভা নির্বাচনে নাগাড়ে চিটফান্ড ইস্যুতে তৃণমূলকে বিঁধেছে প্রতারিত মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরে। এমনকী, যাদবপুরে বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রচারে চিটফান্ড এজেন্ট ও আমানতকারীদের সংগঠনকেও বকলমে একদিন নামিয়েছিল সিপিএম। চিটফান্ডকাণ্ডে নিঃস্বার্থে আইনি লড়াই চালানোর জন্য বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কোনও প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। স্বয়ং বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম ম্যানেজার মান্নান এবং দলের এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্য একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে একদিন সভাও করেছেন বিকাশবাবুর হয়ে। আজ, রবিবার শেষ দফায় যে ন’টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে, তার সবক’টিতেই বহু ভুক্তভোগী প্রতারিত রয়েছেন। তাই আজকের ভোটের প্রাক্কালে সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হছে।
কংগ্রেস নেতা মান্নান এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী শনিবার একসুরে বলেন, দুই এজেন্সির দ্বৈরথ নিয়ে এতদিন আমরা যে কথা বলছিলাম, এবার সুপ্রিম কোর্ট কার্যত তাতেই সিলমোহর দিল। মূল তদন্ত লাটে তুলে দিয়ে পুলিস-সিবিআইয়ের পারস্পরিক ঝগড়ার জেরে ভুক্তভোগীরা অথৈ জলে পড়ে রয়েছে। তাদের টাকা ফেরানোর বিষয়টি শিকেয় উঠেছে। পাশাপাশি মূল লুটেরা যারা তারাও দিব্যি পার পেয়ে যাচ্ছে। আসলে শাসকের কেষ্টবিষ্টুরা এই ঘোটালায় ফেঁসে গিয়েছে বলে সময় নষ্টের জন্য বোঝাপড়ার ঝগড়া চালিয়েছে দুই এজেন্সি। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে সেটাই আজ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হল।