যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য বলেন, ভোটকর্মীদের জন্য হেলদি টিপস হল, এক, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় সহজপাচ্য খাবার খান। দুই, সারা দিনে প্রচুর জলপান করুন। সম্ভব হলে গরমের ফল খেতে পারেন। শরীর ঠান্ডা রাখবে। সঙ্গে ওআরএস রাখতে ভুলবেন না যেন। তিন, অনেক সময় সম্ভব হবে না, কিন্তু, তাও চেষ্টা করবেন ছায়ায় থাকতে। চার, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে মাথা ঠান্ডা রাখা আর একটি অন্যতম টিপস।
ডাঃ ভট্টাচার্য বলেন, ভোটারদের বলব, দুপুর ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত চড়া রোদে না বেরনোই ভালো। বিশেষত অসুস্থ এবং বয়স্কদের। সকাল সকাল ভোট দিয়ে আসাটাই উচিত। আর ছাতা নিয়ে বেরনো একেবারে মাস্ট। প্রচণ্ড গরমের জন্য এবার নতুন একটি সমস্যা আমরা দেখছি। এবং কিছুটা আশ্চর্যও হচ্ছি। সেটা হল, তুমুল গরমের জন্য শ্বাসকষ্ট। যেটা শীতকালে হয়, সেটা এখন গরমে হচ্ছে। টান উঠছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অনেকেরই।
প্রার্থী-সমর্থকদের পক্ষে অত শারীরিক নীতিনিয়মের মধ্যে থাকা আজকের দিনে অসম্ভব। তাও বলব, আগে বলা দুই ক্ষেত্রের নিয়ম-কানুনই যতটা সম্ভব মেনে চলতে। আর ছায়ায় থাকার চেষ্টা করতে।
বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য বলেন, হালকা খাবার, প্রচুর জল, শরবত, বিশেষত দুপুর-রাতে পটল, ঝিঙে ইত্যাদি গরমের সব্জি দিয়ে ভাত শরীর ভালো রাখবে। শশা, তরমুজ ইত্যাদি যেসব ফলে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, সেগুলি খাওয়া যেতে পারে। আর শেষ পাতে টক দই যদি রাখতে পারেন, কথা নেই! চিকেন হোক বা মটন— মাংস আজকের দিনে না খেলেই ভালো। একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, মাংস শরীরের তাপমাত্রা অসম্ভব বাড়িয়ে দেয়।
ভোটারদের বলব, সকাল সকাল ভোট দিন। যদি অসুবিধা থাকে, বয়স্করা দ্বিতীয় পর্যায়ে, অর্থাৎ রোদের তাত একটু কমলে, চারটের পর ভোট দিতে যেতে পারেন। তাতে চড়া গরম থেকেও নিস্তার পাবেন, আবার একটু বিশ্রাম নিয়েও ভোট দিতে যেতে পারবেন। ভাত, চিড়ে, মুড়ি, দই ইত্যাদি সহজপাচ্য খাবার শরীর ভালো রাখবে। ভোট দিতে বেরনোর সময় ছাতা, সানগ্লাস, টুপি সঙ্গে নেওয়ার পাশাপাশি যাঁদের চড়া রোদে ত্বকের সমস্যা হয়, তাঁরা সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে বেরতে ভুলবেন না যেন। আর হঠাৎ শরীর খারাপ লাগলে কোনও শেড বা ছায়ায় নিচে চলে আসতে হবে। হাতের কাছে জল বা বরফ থাকলে দিতে হবে। তাতেও পরিস্থিতি ঠিক না হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। প্রার্থী-সমর্থকদের পক্ষে শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে এদিন অক্ষরে অক্ষরে নিয়ম মানা খুবই কঠিন। তবে বলব, ওষুধপত্র চললে, সেগুলি নিয়ম মেনে খাবেন। আর ঠা ঠা রোদে আপনাদের শরীর ভালো রাখবে দক দই আর শশা।
বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন পান বলেন, টেনশন কমাতে ব্রিদিং এক্সসারসাইজ বা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম ভালো। লম্বা লম্বা শ্বাস নিন, ধীরে ধীরে ছাড়ুন। ভোটকর্মীদের বলব, এক জায়গায় গ্যাঁট হয়ে না বসে থেকে, একটু হাঁচাচলা করুন। কারণ, বেশি হাঁটাচলা, দৌড়াদৌড়ি যেমন স্ট্রেস বাড়ায়, তেমনই এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও মানসিক চাপ বাড়ে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে একটু গল্পগুজব, পরিবারের বা প্রিয়জনের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা— ভোটের টেনশন কমাবেই কমাবে। প্রার্থী আর সমর্থকদের বলব, এটাই শেষ ভোট নয়, জীবনও ১৯ মে’তেই সীমাবদ্ধ নেই। এটা ভাবুন। মনে শান্তি পাবেন।