যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিনের ভোট শেষে ন’টি কেন্দ্রের ভোটের হাল হকিকত সম্পর্কে রিপোর্ট নিতে গিয়ে তিন জেলার তরফে যে ছবিটা মার্কসবাদী নেতৃত্বের বঙ্গব্রিগেডের কাছে এসেছে, তাতে তারা মোটেও আশার আলো দেখতে পায়নি। এ নিয়ে যার পর নাই ক্ষুব্ধও তারা। বিগত এক বছর ধরে লোকসভা ভোটের জন্য তৃণমূল তথা বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার জন্য বারবার নিদান দেওয়ার পরও বাস্তবে তা মান্যতা না পাওয়াই তাদের এই ক্ষোভের কারণ। বিগত ছয় দফার ক্ষেত্রেও তারা বেশ কিছু জেলায় একই রিপোর্ট পেয়েছিল। কিন্তু শেষ দফার কেন্দ্রগুলিতে দলের সংগঠন তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় এবং বিগত দিনে দল বা বামফ্রন্টের কর্মসূচিতে লোক জমায়েতের ক্ষেত্রে সাফল্য দেখানোয় বাড়তি আশা করেছিলেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। সেই নির্ভরতার জেরেই তাঁরা বুথ স্তরে নির্বাচনী সংগঠন মজবুত করার নিদান দিয়েছিলেন। কিন্তু রবিবারের ভোটের ছবি দেখার পর তাঁদের সেই আশায় অনেকটাই জল পড়ে গিয়েছে। ফল বেরনোর পর বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে জেলার নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতে আগামী ৪ জুন দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তাঁরা।
সিপিএম সূত্রের খবর, এবার রাজ্যে বামেদের তরফে প্রার্থী দেওয়া ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের কোনওটিতেই ১০০ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি নেতৃত্ব। কোনও কেন্দ্রে গড়ে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বুথে এজেন্ট দিলেও কিছু ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৬০ শতাংশেও নেমে এসেছে। শেষ দফার ন’টি কেন্দ্রেও এই মিশ্র ছবি দেখা গিয়েছে। খাস কলকাতার দু’টি কেন্দ্রেও এই দুর্দশা ধরা পড়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। বসিরহাট, ডায়মন্ডহারবার, জয়নগর, যাদবপুর, বারাসত, মথুরাপুর কেন্দ্রেও কমবেশি একই চিত্র সামনে এসেছে। তবে শতাংশের নিরিখে কেন্দ্র বিশেষে হেরফেরের পরিসংখ্যানও রয়েছে। যাদবপুরে অন্তত ৮০ শতাংশ বুথে এজেন্ট কার্ড সংগ্রহ করেছিলেন কর্মীরা। তবে বাস্তবে বেশ কিছু বুথে শেষমেশ এজেন্টরা হয় আসেননি বা এসেও কোনও কারণে থাকতে পারেননি। বসিরহাট বা ডায়মন্ডহারবারের ক্ষেত্রে ছবিটা ছিল আবার ভিন্ন। এই সব কেন্দ্রের অনেক বুথ ফাঁকাই থেকে গিয়েছে এজেন্ট কেউ হতে না চাওয়ার কারণে। তবে কেবল বুথ এজেন্টই নয়, দলের সাংগঠনিক শক্তির চেহারা তুলে ধরতে বাইরে ক্যাম্প অফিস করার যে পুরনো ঐতিহ্য ছিল, এদিন তাও প্রায় বিলুপ্তির পথে যাওয়ার ছবি উঠে এসেছে এই ন’টি কেন্দ্রে। ফলে বুথমুখী সমর্থকদের একাংশও কোথাও যেন বিভ্রান্তি এবং হতাশার দোলাচলে থেকেছে সঙ্গত কারণেই।