কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
আর্সেনিক প্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত উত্তর ২৪ পরগনা। বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা আর্সেনিক প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। বনগাঁ শহরেও আর্সেনিকের প্রবণতা রয়েছে। সে কারণেই পরিস্রুত পানীয় জল শহরের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখনও পর্যন্ত শহরে কোনও সুপরিকল্পিত পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প চালু হয়নি। ফলে পরিস্রুত পানীয় জল পেতে গভীর নলকূপের উপরেই নির্ভর করতে হয় শহরবাসীকে। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক গভীর নলকূপ। তবুও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে বনগাঁ পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শহরবাসীকে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল দিতেই শহরে একাধিক গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, পুরবাসীর পানীয় জলের কথা মাথায় রেখেই পর্যাপ্ত গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প চালু করা হবে।
এলাকায় গভীর নলকূপ বসলেও তা কতটা আর্সেনিক মুক্ত হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত ১১০০ ফুটের নীচে আর্সেনিক মুক্ত জল পাওয়া যায়। কিন্তু পুরসভার নলকূপগুলি ৬৪০ থেকে ৬৫০ ফুট গভীর। আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ কমিটির রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস বলেন, মূলত মাটির তৃতীয় স্তরে আর্সেনিক থাকে না। যেটা মোটামুটি ১১০০ ফুটের নীচে। ৬৪০ বা ৬৫০ ফুট গভীরে মাটিতে আর্সেনিক মুক্ত জল পাওয়া গেলেও কিছুদিন পর ওপরের আর্সেনিক জল চলে আসে। ফলে প্রথম বা দ্বিতীয় পরীক্ষায় জলে আর্সেনিক পাওয়া না গেলেও তৃতীয় পরীক্ষায় জলে আর্সেনিকের অস্তিত্ব মেলে।