কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটড নামে বছর কয়েক আগে উত্তর কলকাতায় একটি কোম্পানি খোলে। তাঁরা বলে বেড়াতেন, এই সংস্থা সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করে। বিভিন্ন নিলামে অংশ নিয়ে সম্পত্তি কেনে এই সংস্থা। এমনকী, সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়াতেও তারা অংশগ্রহণ করে। একটি নয়, এমন আরও কয়েকটি কোম্পানি খোলা হয়েছে বলে জানতে পারে পুলিস। সেখানে ভুয়ো নাম দিয়ে কয়েকজনকে ডিরেক্টর হিসেবে হিসেবে দেখানো হয়।
তদন্তে জানা যাচ্ছে, ওই প্রতারকরা উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হন। সেখানে প্রথমে এই চক্রের কয়েকজন নিজেদের শ্রমদপ্তরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। সংস্থার তরফে বলা হয়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। তারা সরকারের কিছু সম্পত্তি কিনবে। এর জন্য ছ’ লক্ষ টাকা ঋণ লাগবে। কিছুদিন বাদে কোম্পানির নাম বদলে ওই ব্যাঙ্কেই আট লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন করা হয়। এখানে প্রতারকরা পরিচয় দেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অফিসার বলে। এরপর ডিরেক্টর ও কোম্পানির নাম বদলে তিনবার একই শাখায় ঋণের আবেদন করেন। এভাবেই তাঁরা ধাপে ধাপে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন বলে অভিযোগ। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ঘটেছে ঘটনাগুলি।
কিস্তির টাকা ব্যাঙ্কে জমা না পড়ায় সুদের পরিমাণ বেড়ে চলেছিল। ব্যাঙ্ক নিজেদের উদ্যোগে তদন্ত শুরু করে। ডিরেক্টর হিসেবে যাঁদের দেখানো হয়েছিল, তাঁদের খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, কোম্পানির মালিক আসলে একজনই। ঋণ পাওয়ার জন্য নামে-বেনামে কয়েকজনকে ডিরেক্টর বানানো হয়েছিল। তদন্তে দেখা যায়, তাঁরা কেউই সরকারের কোনও দপ্তরে কোনওদিন কাজই করেননি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরই সেকথা জানিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। এরপরই টনক নড়ে ব্যাঙ্কের। অফিসাররা বুঝতে পারেন ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া নথিগুলি জাল। পুরোটাই প্রতারণা। এরপর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ চারটি অভিযোগ দায়ের করে ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে জালিয়াতি, প্রতারণা সহ বিভিন্ন ধারায় আলাদা আলাদা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। জালিয়াতরা ফোন নম্বর সহ ব্যাঙ্কে যে সমস্ত নথি জমা দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে তাঁদের খোঁজ চলছে।