কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি এবার প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রথম এসেছেন কলকাতায়। গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগরে। মকর সংক্রান্তির দিন সেখানে সারেন পুণ্যস্নান। তারপর সেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে ফিরে আসেন কলকাতায়। এরপর আস্তানা হয়ে ওঠে বাবুঘাটের ক্যাম্প। তাঁর সঙ্গে আসা এক পুণ্যার্থীর কথায়, গত কয়েকদিন ধরেই নিজেকে কেমন গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি। বাকিদের সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা বলছিলেন না। সাগরেও পুণ্যস্নানের পর দীর্ঘক্ষণ একাই বসেছিলেন জলের দিকে তাকিয়ে। এদিন বিকেলে সকলের নজর এড়িয়ে কখন যে গোয়ালিয়র ঘাটে চলে গিয়েছিলেন, দেখতে পাইনি। এক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিস কর্মীর কথায়, বিকেল তখন প্রায় ৫টা বাজে। গঙ্গায় তেমন কেউ স্নান করছিলেন না। হঠাৎই নজরে আসে, এক ব্যক্তি জলে নামার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আর পাঁচজন যেভাবে স্নান করতে নামেন, সেভাবে তিনি নামছেন না। চাতালে আনমনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর আচমকা ঝাঁপ দেন গঙ্গায়। গঙ্গাসাগর মেলার ক্যাম্প থাকায় এই ঘাটে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যরা ছিলেন। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে, আন্দাজ করেই সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন কনস্টেবল সৌমেন হাইত। কিছুটা সাঁতরে ধরে ফেলেন ওই ওই ব্যক্তিকে। টেনে পাড়ে নিয়ে আসার সময় তাঁর হাত ছাড়িয়ে ফের ঝাঁপ দেন তিনি। এই জায়গাটা পিচ্ছিল থাকায় ওই ব্যক্তি অনেকটা দূরে চলে যান। তাঁকে বাগে আনতে ফের সাঁতার কেটে কিছু দূরে গিয়ে তাঁকে জাপটে ধরেন ওই কনস্টেবল। যাতে আর হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে না পারে, তাই পাড়ে থাকা পুলিসকর্মীরা দড়ি ছুড়ে দেন তাঁদের দিকে। ওই দড়ি দিয়েই বাঁধা হয় ওই ব্যক্তির হাত-পা। এরপর টেনে পাড়ে তোলা হয় তাঁকে। তবে যখন পাড়ে নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে তিনি সংজ্ঞা হারিয়েছেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় পুলিস হাসপাতালে। পেট থেকে জল বের করার পর তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তাঁর সঙ্গে কথা বলে অফিসাররা জেনেছেন, তাঁর নাম শ্রীপাল সিং। পারিবারিক অশান্তির কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।