কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
ইডি সূত্রে খবর, ঘটনাটি সিকিমের। লটারি বিক্রির টাকা সিকিমের রাজকোষে জমা না পড়ায় সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। বিষয়টি প্রথমে কারওর নজরে আসেনি। অডিটের সময় ধরা পড়ে। বছর খানেক হল এই দুর্নীতি নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। ক্যাগের রিপোর্টেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এরপরেই টনক নড়ে সিকিম সরকারের। এই অনিয়ম নিয়ে সেখানকার উচ্চ আদালতে মামলা হয়। তাতেও উঠে আসে একই চিত্র। এরপরই অর্থমন্ত্রকের নির্দেশে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি।
তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা তদন্তে নেমে দেখেন, সিকিমে একাধিক লটারি হয়। সেসব টিকিট বিক্রি হয় কলকাতা সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বিভিন্ন মার্কেটিং এজেন্সির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে টিকিট পৌঁছয়। তদন্তে উঠে এসেছে, মার্কেটিং এজেন্সি নিয়োগেই বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার না ডেকেই এজেন্ট নিয়োগ হয়েছে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুরনো এজেন্টকে নিয়ম ভেঙে চুক্তি ছাড়াই নিয়োগ করা হয়। এই ঘটনায় ডিরেক্টর অব সিকিম স্টেট লটারির কর্তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে ইডি। তাঁদের মাধ্যমেই এজেন্ট নিয়োগ হয় সর্বত্র।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৪৫ হাজারের বেশি লটারি ড্র হয়েছে। টিকিট বিক্রি করে এজেন্টরা যে টাকা পেয়েছেন, তার মাত্র দেড় শতাংশ জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি। দুর্নীতির এখানে শেষ নয়। টিকিট ছাপার ক্ষেত্রেও অনিয়ম উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, কলকাতার তিনটি কোম্পানি টিকিট ছাপার বরাত পেয়েছিল। মার্কেটিং এজেন্টরাই বিষয়টি দেখভাল করেন। কত টিকিট ছাপা হল, কোন রাজ্যে কত টিকিট গেল, অবিকৃত টিকিট কত, তার কোনও হিসেব নেই। এমনকী, যে টিকিটে পুরস্কার উঠেছে, এজেন্ট কত টাকা প্রাইজ মানি দিলেন, তার নথিও জমা পড়েনি। পুরস্কারের টাকা বিজেতা পেয়েছেন কি না, তার রেকর্ড নেই মার্কেটিং এজেন্সিগুলির কাছে। ইডির বক্তব্য, লটারির নামে বিপুল টাকা নয়ছয় হয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির অঙ্ক একশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দারণা করা হচ্ছে। এই টাকার হদিশ পেতেই কলকাতায় বিভিন্ন মার্কেটিং এজেন্টদের অফিস ও বাড়িতে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের গোড়ায় তল্লাশি চলে। সেখান থেকে টিকিট বিক্রি ও লেনদেনের বিভিন্ন নথি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষার কাজ চলছে। এই এজেন্টদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের আয়ের উৎস খোঁজা হচ্ছে। লটারি কেলেঙ্কারির টাকায় জমি বা কোনও সম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা বিদেশে গিয়েছে কি না, সেই তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে।