কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
২০১৩ সাল থেকে আইএসআই-এর এই কর্মীরা চুক্তিতে কাজ করছেন। মালির পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রান্নার কাজও করেন। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁদের বাছাই করা হয়। স্বশাসিত এই সংস্থার আউটসোর্সিং কমিটি ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর স্থির করেছিল, শারীরিক হাল ঠিক থাকলে ও মেডিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করলে ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা কাজ করতে পারবেন। সম্প্রতি সেই ব্যবস্থা একতরফা বদলে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকারের তরফে বলা হয়, যেভাবে এঁদের কাজে লাগানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কল্পতরু এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদার সংস্থার অধীনে তাঁদের এক বছরের চুক্তিতে ঠেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে তা চ্যালেঞ্জ করা হয় হাইকোর্টে।
হাইকোর্টের প্রশ্ন, যেভাবে তাঁরা কাজ করছেন, তা কেন ঠিক নয়, তার কোনও কারণ বলা হয়নি। ওই কর্মীদের এই প্রসঙ্গে কী অভিমত, তা জানার চেষ্টাও হয়নি। সরকারি বক্তব্যে বলা হয়েছে, যদি কোনও স্থায়ী পদ না থাকে, তাহলে সেই কাজ আউটসোর্স করতে হবে। অর্থাৎ, ঠিকাদারকে দিতে হবে। আদালতের প্রশ্ন, কেন? কোনও আর্থিক বা অন্য কারণে? স্রেফ খরচটাই মুখ্য? এক স্বশাসিত সংস্থার নিরাপদ ছাতার তলায় তাঁদের পরিষেবার কোনও মূল্যই কল্যাণকামী রাষ্ট্রের কাছে নেই? তাহলে ওই কর্মীদের ৫৯ বছর পর্যন্ত কাজ করে যাওয়ার বিষয়ে গৃহীত সুরক্ষা কবচের কী হবে? কবে, কখন সেই পূর্ব সিদ্ধান্ত বাতিল হল? আদালতের বক্তব্য, এই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সরকারি এই অভিজাত সংস্থাকে ‘আধুনিক শাইলক’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই সঙ্গে ওই কর্মীদের ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করতে বলার নির্দেশও খারিজ করেছেন তিনি।