কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁতে দাঁত চেপে দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করার পর ওই তরুণী ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ট্যাংরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই থানা এলাকাতেই তাঁর বাপের বাড়ি। যার ভিত্তিতে পুলিস ষড়যন্ত্র (১২০বি), মাদক খাওয়ানো (৩২৮), ধর্ষণ (৩৭৬), শ্লীলতাহানি (৩৫৪), নারী পাচার (৩৭০) সহ ইমমরাল অ্যাক্টের ৩, ৪, ৫ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ গুরুতর এবং স্পর্শকাতর হওয়ায় মামলার তদন্তভার থানার হাত থেকে লালবাজারের অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিক ইউনিটের গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই তদন্ত চলাকালীন ওই তরুণী ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। তারপরই অভিযুক্তের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা।
পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, বাবা-মা, বউদি, বোন, জামাইবাবু সহ পরিবারের জনা ১৫ সদস্য মিলে আমাকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করত। কখনও বাড়িতে, আবার কখনও হোটেলে পাঠানো হতো আমাকে। প্রতিবাদ করলেও কোনও লাভ হয়নি। এমনকী কাস্টমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছিল পর্নোগ্রাফি তৈরির জন্য। যা কয়েকটি পর্ন সাইটে বিক্রিও করা হয়েছে। যদিও গোয়েন্দারা এই তদন্তে নেমে এখনও ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেননি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, স্বামীর নজর এড়িয়ে কীভাবে দিনের পর দিন এই কাজ চলছিল? প্রাথমিক তদন্তের পর লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, বিয়ের আগে থেকেই ওই তরুণীকে দিয়ে এই দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছিল। তাঁর স্বামী বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত। ফলে তিনি বাড়িতে থাকতেন না। সেই সুযোগে কার্যত ‘ব্ল্যাক মেইল’ করে তাঁকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে কাস্টমার আসত। তবে মাঝেমধ্যে শহরের একাধিক হোটেলেও ওই তরুণীকে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। মূলত, মোটা টাকা আয় করার জন্যই এই কাজ করানো হচ্ছিল।
সাম্প্রতিককালে কলকাতায় রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন তুতো দাদা গ্রেপ্তার হয়েছে। তেমনই পাটুলিতে কাজের টোপ দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক দম্পতি গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে ট্যাংরার এই ঘটনা যেন সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।