কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা জানতে পারছেন, রীতিমতো চক্র গড়ে তুলে এই কারবার চালাচ্ছিলেন এফআইআরে নাম থাকা ওই অফিসার। ভাটপাড়া, নৈহাটি, বারাকপুর সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তিনি এভাবে জমির পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে স্ট্যাম্প ডিউটি কম দিতে সাহায্য করেন একাধিক ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারকে। বিনিময়ে ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে তিনি বিভিন্নরকম সুযোগসুবিধা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এফআইআরে বলা হয়েছে, ভাটপাড়া এলাকায় একটি সরকারি জমি রয়েছে। সরকারের সঙ্গে ৯৯৫ বছরের জন্য চুক্তি হয় এক ব্যবসায়ীর। নিয়ম অনুযায়ী, এজন্য সরকারের কাছে স্ট্যাম্প ডিউটি জমা দিতে হয়। অভিযোগ, ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় ছিল ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের ওই পদস্থ কর্তার। তিনি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে খাতায়কলমে দেখান ২৯ বছরের জন্য জমিটি লিজ নেওয়া হয়েছে। যে কারণে বিপুল পরিমাণ স্ট্যাম্প ডিউটি কমে যায় ওই ব্যবসায়ীর। এছাড়াও আরও তিনটি দলিল পাওয়া গিয়েছে। তা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, বাস্তবে যে পরিমাণ জমি রয়েছে, তার চেয়ে কম জমি দেখানো হয়েছে। এর ফলে স্ট্যাম্প ডিউটি অনেক কমে গিয়েছে। এভাবেই আরও অনেককেই তিনি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে জানতে পারছেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। যে কারণেই ওই অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় সোমবার।
তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে অফিসাররা জেনেছেন, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পে তাঁর টাকা গচ্ছিত রয়েছে। যার পরিমাণ প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি বলে জানা গিয়েছে। তবে এগুলি মূল্যায়নের কাজ চলছে। তা শেষ হলেই মোট অঙ্ক কত তা জানা যাবে বলে মনে করছে দুর্নীতি দমন শাখা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ভালো অঙ্কের টাকার খোঁজ মিলেছে। এই টাকার উৎস কী, তা দেখা হচ্ছে। সেই কারণেই তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হবে বলে খবর। যদি তিনি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।