বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুগোজ স্পাইরালিং হোয়াইট ফ্লাই অর্থাৎ এক ধরনের সাদা মাছির কারণেই নারকেল গাছের পাতায় সাদা দাগের মতো দেখা যাচ্ছে। এটা হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে, এমনটা অবশ্য নয়। ২০১৬ সালে আমাদের দেশে এটি প্রথম দেখা যায় তামিলনাড়ুতে। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ও নন্দকুমার এলাকায় প্রচুর নারকেল গাছে এই সাদামাছির উপস্থিতি নজরে আসে। নদীয়াতেও বেশকিছু নারকেল গাছে বিশেষ প্রজাতির এই সাদামাছির আক্রমণ ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে। যেহেতু এই মাছি উড়তে পারে এবং দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যেতে পারে, ফলে অল্পদিনের মধ্যেই বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৪ সালে এই মাছি প্রথম দেখা যায় মধ্য আমেরিকায়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নারকেল গাছে বাসা বেঁধেছে এই সাদামাছি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, কীটনাশক প্রয়োগে এই মাছিকে দমন করা যাচ্ছে না। নিমতেল কিংবা শুধু জল স্প্রে করে এই মাছিকে সাময়িক দমন করার দাওয়াই দিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। তবে, এখন শুধু আর নারকেল গাছে নয়, পেয়ারা, কাঁঠাল গাছেও ছড়িয়ে পড়েছে এই মাছি। দিনের বেলাতেও এদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নারকেল গাছে, কিন্তু তেমনভাবে বোঝা যায় না। কী ক্ষতি করে এই মাছি? পূর্ব মেদিনীপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ( শস্য বিজ্ঞান) তরুণ সরকার জানিয়েছেন, নারকেল গাছের পাতার নীচে থেকে এই মাছি রস শুষে খায়। এতে পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়। এদের মুখ থেকে মিষ্টি রস নিঃসরণ হয়, যার উপর শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ হয় এবং কালো বর্ণ ধারণ করে। দূর থেকে সহজেই বোঝা যায়।
রাতে আলো পড়লে চকচক করে। গাছের পাতা শুকিয়ে ঝুলে পড়ে। মারাত্মক আক্রমণে পুরো গাছ মারা যেতে পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাছিগুলিকে দেখতে সাধারণ সাদা মাছির মতোই। তবে আকারে বেশ খানিকরা বড়। পূর্ণাঙ্গ মাছির ডানায় একজোড়া হাল্কা বাদামি রঙের ছোপ রয়েছে। পাতার নীচে স্ত্রী মাছি একসঙ্গে দু’শোরও বেশি ডিম পাড়ে। এবং সাদা তুলোর মতো আঠালো আস্তরণ দিয়ে তা ঢেকে দেয়। নিম্ফ অর্থাৎ বাচ্চা থেকে পূর্ণাঙ্গ মাছি হতে প্রায় একমাস সময় লাগে। এই মাছির আক্রমণে নারকেল গাছের পাতায় যেহেতু কালো আস্তরণ পড়ে যায়, ফলে বন্ধ হয়ে যায় সালোকসংশ্লেষ।