বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে প্রায় ৪৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। যার বেশিরভাগটাই স্বর্ণ মাসুরি প্রজাতির। যদিও বর্ষার সময়ে জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে এই প্রজাতির ধান চাষে ক্ষতির সম্ভবনা থাকে। তাই স্বর্ণ মাসুরির পরিবর্তে স্বর্ণ সাবওয়ান প্রজাতির ধান চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রজাতির ধান চাষে জমিতে ৬-৭দিন জল দাঁড়িয়ে গেলেও ধানের কোনও ক্ষতি হয় না। আর সেই কারণে গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের কৃষকেরা এই প্রজাতির ধান চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের পাশাপাশি আমতা ২ নং ব্লকের ঝামটিয়া ও ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ হেক্টর জমিতে স্বর্ণ সাবওয়ান প্রজাতির ধান ও কাশমূলি ও ঘোড়াবোড়িয়া চিৎনান গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ হেক্টর জমিতে এমটিইউ ১১৫৩ প্রজাতির ধান চাষ করা হচ্ছে। কৃষকদের উৎসাহ দিতে ইতিমধ্যে ধানের বীজ, অনুখাদ্য ও রাসায়নিক দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আমতা ২ নং ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস জানান, স্বর্ণ সাবওয়ান ধানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট এই- ৬-৭দিন জলের তলায় থাকলেও এই ধান নষ্ট হবে না। এমনকী এই প্রজাতির ধানের সহনশীলতা অনেক বেশি হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, এমটিইউ প্রজাতির ধান উচ্চফলনশীল ও কম সময়ে অধিক ফলন হয়। ফলে কৃষকেরা এই ধান চাষে বেশি লাভবান হন।
ব্লকে নতুন প্রজাতির ধান চাষ সর্ম্পকে আমতা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল জানান স্বর্ণ সাবওয়ান প্রজাতির ধানচাষের জন্য ৭৫০০ কেজি ও এমটিইউ প্রজাতির ধান চাষের জন্য ৭৫০ কেজি ধানের বীজ কৃষকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এছাড়াও ব্লকের ২০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ করা হচ্ছে।