অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
১০ গ্রাম সোনার দাম ৫৭ হাজার টাকায় পৌঁছেছিল গত কয়েক মাস আগে। এখন তা কিছুটা নীচে নেমে ৫০ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। শিল্পমহলের বক্তব্য ছিল, ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপানোর কারণে সোনার দাম বাড়ছে। শুল্ক এড়াতে চোরাই পথে সোনা আসছে। তাই সৎভাবে ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। সরকারকে অবৈধ কারবারের সেই রাস্তা বন্ধ করতে হবে। কমাতে হবে আমদানি শুল্ক। এদিন নির্মলা সীতারামন যে ঘোষণা করলেন, তাতে সোনার উপর আমদানি শুল্ক হবে ৭.৫ শতাংশ। এর সঙ্গে যোগ হবে ১০ শতাংশ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সারচার্জ। তার উপর যোগ হবে ২.৫ শতাংশ কৃষি সেস। অর্থাৎ ১০.৭৫ শতাংশ কর মেটাতে হবে। অর্থাৎ যে ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর আর্জি জানিয়েছিল শিল্পমহল, বাস্তবে তার কিছুটা মিলল। তাতে স্বভাবতই খুশির হাওয়া শিল্পের অন্দরে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোমসুন্দরম পিআর বলেন, বাজেটে যা ঘোষণা হয়েছে, এই সময়ে দাঁড়িয়ে তার প্রয়োজন ছিল। সোনার বাজারে নিশ্চিতভাবে তা অক্সিজেন জোগাবে। পাশাপাশি জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল দাবি করেছে, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে ভারত গয়না রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা পাবে। প্রতিযোগিতার বাজারে ব্যবসা করা অনেকটা সহজ হবে।
কিন্তু ১২.৫ শতাংশ থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে চার শতাংশ করার দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। সেই আশা পূরণ হল কি? সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সিইও শুভঙ্কর সেন বলেন, সরকার এক ধাক্কায় অনেকটা কর কমাবে, এটা আশা করা যায় না। বরং অর্থমন্ত্রী যে আমাদের দাবি মেনে শুল্ক কমানোর পথে হাঁটলেন, এটাই বড় কথা। হয়তো এরপর ধাপে ধাপে তা কমানো হবে। কারণ সরকারকে রাজস্ব আদায়ের কথাও ভাবতে হবে। অঞ্জলি জুয়েলার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে আত্মনির্ভরতার ডাক দিচ্ছেন, তাতে ইন্ধন দেবে আমদানি শুল্ক কমানোর এই সিদ্ধান্ত। সাধারণ মানুষও সোনায় বিনিয়োগ করার উৎসাহ পাবেন।
তবে স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে বলেন, মনে রাখতে হবে, এই করের পাশাপাশি সোনায় তিন শতাংশ জিএসটি মেটাতে হয়। যেহেতু সোনা দামি জিনিস, তাই ৩ শতাংশ জিএসটিও কিন্তু অনেকটা। সরকার যেমন আমাদের একটা দাবিকে গুরুত্ব দিয়েছে, আমরা আশা করব সরকার জিএসটির হার কমানোতেও নজর দেবে। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, কেন্দ্রের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু যদি সরকার আরও ২.৫ শতাংশ শুল্ক কমাত, তাহলে ক্রেতারা সোনা কিনতে আগ্রহী হতেন। কারণ তাঁদের জন্য তেমন বড় কোনও সুরাহা হল না।