অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
যিনি যে ব্যাঙ্কের গ্রাহক, তিনি যদি সেখানে হয়রানির সুবিচার চেয়ে আবেদন করেও সুরাহা না পান, তাহলে তাঁকে সাহায্য করতে তৈরি আরবিআই। ওম্বুডসম্যান বিভাগে সেই অভিযোগ জানানো যায়। সেখানে সরকারি, বেসরকারি, বিদেশি এবং পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায়। সেই অভিযোগের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ মাত্রাছাড়া। এমনকী অন্যান্য ব্যাঙ্কের সব অভিযোগের যোগফলেরও বেশি। এক
বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা প্রায় ৯৯ হাজার। তুলনায় অনেক কম অভিযোগ বিদেশি ও পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। অনেকেই অবশ্য বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা তুলনায় বেশি, সেকারণে অভিযোগও বেশি।
যে অভিযোগগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে, তার মধ্যে সবার আগে রয়েছে এটিএম, ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত। যেমন, কার্ড দিয়ে টাকা তোলার সময় হাতে টাকা না পেলেও ব্যাঙ্কের তরফে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। কিংবা ক্রেডিট কার্ডের বিল পাঠানো হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। এ নিয়ে কারচুপির অভিযোগও আছে। এই সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৮৮ হাজার। এর পরে রয়েছে মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। এমন অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। তৃতীয় ধাপে আছে গ্রাহককে ভুল বুঝিয়ে জোর করে কোনও পরিষেবা গছিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ। এই সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। পাশাপাশি পেনশন, অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্যা বা হয়রানি, ঋণ সংক্রান্ত হয়রানি বা জোর করে ঋণের টাকা আদায় করার মতো অভিযোগ। সব মিলিয়ে যেভাবে অভিযোগের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে চিন্তিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।