বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায়ের কথায়, এই লকডাউন কেন্দ্রীয় সরকার নয়, রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপলব্ধি করেছেন, আর্থিক মূল্যের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। অথচ তিনি আর্থিক দিকটিও এড়িয়ে যাননি। তাই সপ্তাহে দু’দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যবসার যেটুকু ক্ষতি, তা করোনাপর্বের গোড়াতেই হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমও চলছে। পাশাপাশি এই লকডাউনে শর্তসাপেক্ষে কারখানা চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাহলে আর অসুবিধা কোথায়?
সারা রাজ্যে যে ট্রেডিং সংগঠনগুলি আছে, তাদের যৌথ মঞ্চ হল কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস। এখানকার প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দারের কথায়, দু’দিনের জায়গায় যদি সপ্তাহে চারদিন লকডাউন ডাকা হয়, তাহলেও ব্যবসায়ীদের সমর্থন থাকবে বলেই আমার মনে হয়। কারণ মানুষ এখন যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কেনাকাটা করছেন। ফলে যখন দোকান-বাজার খোলা থাকবে, ক্রেতারা তাঁদের দরকারি জিনিসটি কিনে নেবেন। তাতে জিনিসের চাহিদা কমার জায়গা খুব একটা নেই। তাই দোকানদারদের বিক্রিবাটার উপর এর তেমন প্রভাব পড়বে না। সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসাদাররা বুঝে গিয়েছেন, এই রকম পরিস্থিতির মধ্যেই আপাতত থাকতে হবে। মানসিকভাবে তাই সবাই প্রস্তুত রয়েছেন। নতুন করে ডাকা এই লকডাউনও তাই সফল।
দু’দিনের লকডাউন ব্যবসার আর নতুন করে কোনও ক্ষতি করবে না বলে মনে করছেন বড়বাজারের ব্যবসায়ীরাও। পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ আগরওয়ালের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার যখন লকডাউন ঘোষণা করেছিল, তারপর থেকে বাজার অনেকটাই ঝিমিয়ে গিয়েছে। আনলক পর্ব শুরু হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরাট কোনও গতি নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রেই করোনা সংক্রমণ বাজারের স্বাভাবিক কাজকর্ম লাটে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নতুন করে ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে না। পোস্তার মতো এত বড় বাজারে বড় রকমের সংক্রমণের ভয় মারাত্মক। সেই পরিস্থিতিতে যদি লকডাউন করলে সমস্যা কমে, তাহলে সবার পক্ষেই ভালো।