বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
ফলে ফোর-জি পরিষেবা চালু হওয়া এখন বিশ বাঁও জলে। সেই খরা কাটাতে এবার উদ্যোগ নিল ক্যালকাটা টেলিফোনস। বিএসএনএলের কলকাতা সার্কেলের দাবি, বর্তমান পরিকাঠামোকেই ফোর-জি পরিষেবার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এর জন্য দিল্লিতে সদর দপ্তরের কাছে ১৪০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন সার্কেলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ পাল।
এদেশে বিএসএনএলের টু-জি এবং থ্রি-জি পরিকাঠামোর অন্তত ৭০ শতাংশ যন্ত্রপাতি চীন থেকে এসেছে। কলকাতা ও শহরতলিতেও ছবিটা প্রায় এক। সুইডেন ও চীনের দু’টি সংস্থা মিলে এখানে মূল পরিকাঠামো গড়েছে। নতুন যে টেন্ডার ডাকা হয়, তাতেও ওই চীনা সংস্থার হাজির হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। সেই কারণেই গোটা প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। তাহলে উপায়? বিশ্বজিৎবাবুর মতে, চীনা সংস্থাটির থ্রি-জি পরিকাঠামোকে ফোর-জিতে রূপান্তরিত করতে ৯৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা লাগবে। ১৪০ কোটির মধ্যে বাকি টাকা খরচ হবে সুইডেনের সংস্থাটির জন্য। কলকাতা সার্কেলের আওতায় বিএসএনএলের মোট ১ হাজার ৬৮৪টি মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। সেগুলিতে মোট ৩ হাজার ২৯০টি বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) বসানো আছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে সিগন্যাল যায়। ১ হাজার ৬০০টি বিটিএস থ্রি-জি পরিষেবা দেয়, বাকিগুলি টু-জি। সংস্থার কর্তারা বলছেন, থ্রি-জি বিটিএস ফোর-জিতে রূপান্তর করা সম্ভব। তা বিরাট সময় সাপেক্ষও নয়। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে এছাড়া কোনও উপায় নেই।
কিন্তু এতে কিছু সমস্যাও রয়েছে। বিএসএনএলের কর্তারা বলছেন, এক্ষেত্রে থ্রি-জি পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে যাদের থ্রি-জি হ্যান্ডসেট, তাঁদের অসুবিধা হবে। যদিও বর্তমানে প্রায় সব গ্রাহকের স্মার্টফোনই ফোর-জির সুবিধা রয়েছে। অন্যদিকে, ফোর-জির জন্য পৃথক পরিকাঠামো গড়া হলে, গ্রাহক তিনটি পরিষেবাই পাবেন।