দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
২০২০ ইউরো জয়ের পর অনেকেই মনে করেছিলেন, হারানো ফুটবল গরিমা ফিরে পেয়েছে ইতালি। কিন্তু তাঁদের ভুল ভাঙতে বিলম্ব হয়নি। ২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল আজ্জুরিরা। বারেল্লা-পেলিগ্রেনিদের খেলা দেখলে মনে হয় এখনও ইতালিয়ান ফুটবলে ট্রানজিশন পিরিয়ড চলছে। ঐতিহ্যের কাতানেচ্চিও কৌশল ছেড়ে বাকি ইউরোপের সঙ্গে গা ভাসিয়েও কাজের কাজ হচ্ছে না। চলতি ইউরোতে গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে তারা। তাও আবার আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে। শেষ ম্যাচে ছন্নছাড়া ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোনওক্রমে হার বাঁচিয়ে নক-আউটে পৌঁছয় স্পালেত্তির দল। গ্রুপ পর্বে তাদের রক্ষণ বিন্যাস আলগা দেখিয়েছে। অতিরিক্ত ডিফেন্ডার খেলিয়েও ম্যান মার্কিং ব্যর্থ হচ্ছিলেন বাস্তোনিরা। মাঝমাঠেও জর্জিনহো, বারেল্লাদের অতিরিক্ত বল হোল্ড করার প্রবণতা সমস্যায় ফেলছে দলকে। সবচেয়ে বড় কথা, এখনও পর্যন্ত ইতালি প্রেসিং ফুটবল মেলে ধরতে ব্যর্থ। নক-আউটে সমস্যাগুলি না মেটাতে পারলে ইতালির কপালে দুঃখ রয়েছে। সুইত্জারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আক্রমণভাগে চিয়েসা, স্কামাকাদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তবে গত ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন গোল করে দলকে ভরসা দিয়েছেন জাকাগ্নি। শনিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তাঁকে সুপার-সাব হিসেবে ব্যবহার করবেন কোচ। সাংবাদিক সম্মেলনে স্পালেত্তি বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে আমরা সেরাটা মেলে ধরতে পারিনি ঠিকই। তবে শেষ ষোলোর জন্য তৈরি ছেলেরা।’
পক্ষান্তরে, গত ৩১ বছরে ইতালিকে হারাতে পারেনি সুইত্জারল্যান্ড। শনিবার এই পরিসংখ্যান বলদাতে মরিয়া ম্যানুয়েল আকাঞ্জিরা। আক্রমণভাগে ব্রিল এমবোলো গোলের মধ্যে আছেন। এছাড়া মাঝমাঠে ভরসা জোগাচ্ছেন গ্রানিট জাকা, রেমো ফ্রেয়ুলাররা। ম্যাচের আগে কোচ মুরাত ইয়াকিন বলেন, ‘ইতালি বারাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে আমার দলের একাধিক প্লেয়ারের সিরি-এ’তে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটা কাজে লাগাতে হবে।’