কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
প্রথমবার ভিসা বাতিল মামলায় শেষ হাসি হেসেছিলেন বিশ্বের একনম্বর তারকা। রবিবার দ্বিতীয়বারের জন্য আইনি লড়াইয়ে তাঁকে জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। নোভাকের ভিসা বাতিলের বিরুদ্ধে তাঁর আইনজীবী টিমের করা আবেদন খারিজ হয়ে যায়। নোভাককে দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ভিসার আবেদনপত্রে ভুল তথ্য প্রদান, কোভিড পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অমান্য করা, সর্বোপরি করোনার টিকাকে অগ্রাহ্য করা, সবকটি বিষয়ই জকোভিচের বিরুদ্ধে গিয়েছে। তাঁর নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে অস্ট্রেলিয়া সরকার কঠোর থেকে কঠোরতম হয়েছে। যার ফলে জকোভিচের জন্য সার্বিয়া প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিও কোনওরকম রেখাপাত করেনি। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী নিজের ক্ষমতাবলে দ্বিতীয়বারের জন্য জকোভিচের ভিসা বাতিল করেন।
রবিবার ফেডেরাল আদালতে মামলার শুনানিতে তিন বিচারকের প্যানেল পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, অস্ট্রেলিয়ার কোভিড পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই অবস্থায় জকোভিচকে মেডিক্যাল ছাড় দেওয়া মানে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা। ফলে জোকারের ভিসা মঞ্জুর করা যাবে না। আদালতের রায়ের পর জকোভিচ বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমি খুবই হতাশ। আগামী কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে চাই। সবচেয়ে খারাপ লাগছে, মেলবোর্নে প্রিয় সারফেসে আমি এবছর খেলতে পারব না। তবে আদালতের নির্দেশকে সম্মান করি। আমাকে সার্বিয়া ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় আমি সর্বতোভাবে সাহায্য করব। গত দুই সপ্তাহ এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম, যে সবাই আমার দিকে ফোকাস করেছিল। এখন সকলেই টেনিসে মনঃসংযোগ করতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নেওয়া সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। একইসঙ্গে আমার পরিবার, টিম, বন্ধুদের ধন্যবাদ, যারা আমাকে লড়াইয়ের শক্তি দিয়েছেন। সবসময় আমার পাশে ছিলেন।’ রবিবারই তিনি দুবাই রওনা হয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকে জোকার সার্বিয়া পাড়ি দেবেন।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজকরা আদালতের রায়ের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে অ্যাসোসিয়েশন অফ টেনিস প্রফেশনালসের (এটিপি) পক্ষ জানানো হয়েছে, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নোভাক না থাকায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ঔজ্জ্বল্য হারাবে। তবে প্রার্থনা করি, দ্রুত টেনিস কোর্টে ফিরুক জকোভিচ।’