বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মোহন বাগান-ইস্ট বেঙ্গল এজমালি মাঠে সেই ম্যাচের শ্যুটিং হয়েছিল। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না যে, সেই সময় এরিয়ানের দিকটি ছিল সবুজ-মেরুনের। একই মাঠে দুই প্রধানের অনুশীলন চলত। গা ঘামানোর পরে উমাপতি কুমার-আমেদ খানরা একসঙ্গে ঠান্ডা পানীয়ে গলা ভেজাতেন। যাক সে কথা। ফেরা যাক সপ্তপদীর শ্যুটিংয়ে। ১৯৬০ সালে মরশুম শুরুর মুখে মোহন বাগান গিয়েছিল ইস্ট আফ্রিকা সফরে। তাঁবুও বন্ধ। তাই উত্তমবাবু দ্বারস্থ হলেন ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল সচিব মন্টু বসুর। মহানায়কের অনুরোধে তিনি খুলে দিয়েছিলেন ইস্ট বেঙ্গল তাঁবু। মন্টুবাবুর উদ্যোগেই রেঞ্জার্সের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ফুটবলারদের নিয়ে আসা হল ব্রিটিশ চিকিৎসক দলের হয়ে অভিনয়ের জন্য। শ্যুটিংয়ের দিন ডাকা হল তুলসীদাস বলরামকে। শ্যুটিংয়ের জন্য আনা সাদা জার্সি ইস্ট বেঙ্গলের তৎকালীন কর্তা সুধাময় দাশগুপ্ত তুলে দিয়েছিলেন রেঞ্জার্সের খেলোয়াড়দের হাতে। আর উত্তমকুমারের দলকে দেওয়া হল লাল-হলুদ জার্সি। কিন্তু মহানায়ক তা পড়তে চাইলেন না। তিনি বিকল্প জার্সি নিয়ে আসার অনুরোধ করলেন। শেষ পর্যন্ত ময়দান মার্কেটে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল সুধাময়বাবুকে। কিন্তু তিনি এক মতলব আঁটলেন। সাইকেল নিয়ে ময়দান মার্কেটে না গিয়ে ডালহৌসি ঘুরে খালি হাতে ফিরলেন। জানালেন, ময়দান মার্কেটের সব দোকান বন্ধ। ইস্ট বেঙ্গল জার্সিই পরে শ্যুটিং করতে হবে উত্তমকুমারকে। যা শুনে হতাশ হলেন মহানায়ক। তিনি কিছুতেই তা গায়ে তুলতে রাজি নন। ইউনিটের লোকজনদের উত্তমবাবু বললেন, শ্যুটিং প্যাক-আপ করতে।
এদিকে, উত্তমের টালবাহানায় তখন ভীষণ চটে গিয়েছেন সুচিত্রা সেন। তাঁর মেক-আপ হয়ে গিয়েছিল। পরিচালকের কাছে জানতে চাইলেন, উত্তমকে ঘিরে জটলা কেন? মহানায়িকার বক্তব্য ছিল, ‘জার্সি নিয়ে দড়ি টানাটানি অযৌক্তিক। ২০ মিনিট অপেক্ষা করছি। নইলে শ্যুটিং করব না।’ কাজ হয়েছিল সেই হুমকিতেই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়েই অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, সপ্তপদী সিনেমায় মহানায়কের বল কন্ট্রোলের দৃশ্যে ছিলেন তুলসীদাস বলরাম।