বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
আসন্ন আইএসএল দশ দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল গত শনিবারের সভায়। যাতে শিলমোহর দেবেন চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। তিনি অবশ্য গত ১৪ মার্চ গোয়ায় আইএসএলের ফাইনালের দিন জানিয়েছিলেন, ‘আগামী বছরের আইএসএল ১০ দলকে নিয়েই হবে।’ এরপর গত সাড়ে চার মাসে সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতায় দলের সংখ্যা নিয়ে আরও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের মন্তব্যে আশার আলো দেখে ইস্ট বেঙ্গল। গত কয়েক মাস ধরেই তিনি বলছিলেন, ‘যাবতীয় শর্ত পূরণ করতে পারলে লাল-হলুদের আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা আছে।’ উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার সাংগঠনিক ব্যাপারে এবার কুশলবাবু অতি সক্রিয়। কারণ, বিদেশির সংখ্যার ব্যাপারে তিনিই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু কুশলকে না জানিয়ে গত রবিবার রাতে এফএসডিএলের কাছে সময় চেয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা? তারপরই ক্ষুব্ধ কুশল সোমবার একহাত নেন তাঁদের। ইস্ট বেঙ্গলকে সরকারীভাবে চিঠি দেয়নি এফএসডিএল। মুখ বাঁচাতে গত কয়েকদিন বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক লবি করছেন কর্তারা। এরই মধ্যে এএফসি’র এই ট্যুইটে আরও দমে গিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সারাদিন তাঁদের মুখে কুলুপ আঁটা ছিল। এক শীর্ষকর্তা শুধু বললেন, ‘ইস্ট বেঙ্গল তো এখনও আই লিগেরই দল! ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভায় এবং আই লিগ ক্লাবগুলির মিটিংয়ের স্লটে আমরা ছিলাম।’ ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকরা অবশ্য এএফসি’র ট্যুইটকে মানতে রাজি নন। তাঁদের বক্তব্য, ‘অতীতে আই লিগের কোনও দল কোচ নিয়োগ করলে এএফসি তো ট্যুইট করেনি। তাহলে এই ট্যুইট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।’
মনে রাখা প্রয়োজন, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব প্রাইভেট লিমিটেডের নামে লাইসেন্সিং করতে সব নথিপত্র ফুটবল হাউসে পাঠানোর শেষ দিন ৩১ জুলাই। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুটবল হাউসের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘৭৫ শতাংশ নথি পেয়েছি। শুক্রবারের মধ্যে বাকি কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে ইস্ট বেঙ্গলকে।’ এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার শিল্পপতির আইনজীবীর সঙ্গে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন। ইস্ট বেঙ্গলের হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ‘ম্যাচে’ এখন সম্বল সেই শিল্পপতিই।