বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
রাহুল বলছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকে তিরন্দাজির উপর প্যাশন রয়েছে শানের। এর আগে কলকাতায় এলে সাইয়ের ট্রেনিং সেন্টারে আমায় সঙ্গ দিয়েছে ও। আবার আমি মুম্বইয়ে কোনও সফরে গেলে শান নিজের বাড়িতেই তিরন্দাজির যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বাণিজ্যনগরীতে এই খেলার উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় ওর আক্ষেপ এখনও রয়েছে।’
সল্টলেকের বাড়িতে রাহুলের ৪৬ পাউন্ডের ধনুক নিয়ে লক্ষ্যভেদে সফল শান। এই প্রসঙ্গে ওলিম্পিয়ান দোলা ব্যানার্জির ভাই বলছিলেন, ‘অনেকেই এই ধনুক সামলাতে পারেন না। লক্ষ্যের বাইরে তির নিক্ষেপ করেন। কিন্তু শান অনায়াসেই তা দিয়ে তিনবার করে ছ’টি তির বুলস আইয়ে হিট করেছে। সঙ্গীতশিল্পী না হলে হয়তো ও তিরন্দাজই হতো।’ করোনার জন্য অন ফিল্ড প্র্যাকটিস বন্ধ। বাধ্য হয়ে নিজের প্র্যাকটিসের স্বার্থেই বাড়িতেই আর্চারি ফরম্যাট গড়ে তুলেছেন রাহুল ব্যানার্জি। এই প্রসঙ্গে ২০১০ দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী এই তিরন্দাজ বলছিলেন, ‘সাম্প্রতিক সঙ্কটকালে সবাই ইনডোর আর্চারির দিকেই বেশি ফোকাস করছেন। সম্প্রতি তিরন্দাজির ইনডোর বিশ্বকাপও হয়েছে। ঝাড়গ্রামে সরকারের অ্যাকাডেমি ও লেক গার্ডেন্সে নিজের অ্যাকাডেমিতে আমি এই বিষয়ে বেশি জোর দিয়েছি।’
অর্জুন পুরস্কার জয়ী রাহুলের আপাতত লক্ষ্য ২০২১ টোকিও ওলিম্পিকস। এর আগে লন্ডন ওলিম্পিকসে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘টোকিও ওলিম্পিকস পিছিয়ে যাওয়ায় প্রস্তুতির সময় পাওয়া গিয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে এই বছর তিরন্দাজির কোনও প্রতিযোগিতা হবে না। আগামী বছর থেকে অন্তত তিনটি সিলেকশন টুর্নামেন্ট হবে ওলিম্পিকসের। সেগুলিকে কাজে লাগাতে হবে। শিখতে শিখতে শেখানোর কাজটাও করে যাচ্ছি। অর্থাৎ প্রশিক্ষক হিসেবে আগামী প্রজন্মকে তুলে আনতে আমি ও দিদি (দোলা) বদ্ধপরিকর।’