কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এই প্রেক্ষাপটে যুবির ঘোষণাকে স্বাগত জাগিয়ে যোগরাজ সিং বলেছেন,‘আমি অনেকদিন ধরেই যুবিকে নিয়ে গর্বিত। যদিও বাবা হিসাবে ওর প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই আমি সুবিচার করিনি। ও চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। আমার অনেক অধরা স্বপ্ন ও ক্রিকেট মাঠে পূর্ণ করেছে। তাই একদিক থেকে আমি ওর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি ওকে মুম্বই এসে থাকতে বলেছিলাম এই শতাব্দীর শুরুতে। আমার কথা শুনলে টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে হয়তো আরও মেলে ধরতে পারত। ওর মধ্যে প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। আমার কথা শুনে পাঞ্জাব থেকে মুম্বইতে এলে ‘লাল বল ক্রিকেটে’ আরও ছাপ রেখে যেতে পারত।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে টি- ২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ৫০-৫০ ফরম্যাটের বিশ্বকাপে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিলেও টেস্টে সেইভাবে সফল নন যুবি। দেশের হয়ে ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৪০টি টেস্ট। সৌরভ গাঙ্গুলি ২০০৮ সালে হঠাৎ অবসর নিলে পাঁচ নম্বর জায়গা পেয়েছিলেন যুবি। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি। যোগরাজের মন্তব্যে সেই কথার প্রতিধ্বনিই যেন শোনা গিয়েছে। ছেলের প্রতি যোগরাজের প্রশস্তির নেপথ্যে আছে একটি কারণ। যুবি তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণার দু’দিন আগে ফোন করেছিলেন বাবাকে। দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় যোগরাজ ও যুবরাজের মধ্যে। এই ব্যাপারে যুবি সোমবার বলেছিলেন,‘গত ২০ বছর বাবার সঙ্গে কথাবার্তা হত মামুলি পর্যায়ে। কয়েকদিন আগে আমার সিদ্ধান্তর ব্যাপারে ওঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললাম। এতক্ষণ কথা গত ২০ বছরে আমাদের মধ্যে হয়নি। কথাবার্তা বলার সময়ে আমিও কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। খেলাটাকে ভালোবাসতে তো বাবাই শিখিয়েছিলেন। প্রথম জীবনে কোচ তথা মেন্টর হিসাবে বাবা ছিলেন প্রচণ্ড কড়া। ওঁকে মাঝে মাঝেই ‘ড্রাগন’ মনে হত। বাবা মেজাজে থাকলে ওর মোকাবিলা করাও ছিল বেশ কষ্টকর। তবুও শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার শিক্ষা তো বাবাই দিয়েছেন। তাই ‘এতবড়’ ঘোষণার আগে বাবাকে ফোন করেছিলাম। দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার পর মানসিক শান্তি পেয়েছিলাম।’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যোগরাজ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দেশের পরিচিত ক্রিকেট সাংবাদিক মকরন্দ ওয়াংগেকরকে। যোগরাজ বলেছেন,‘আমার মতোই যুবির কেরিয়ারে মকরন্দের বড় ভূমিকা আছে।’
এদিকে, যুবির অবসর ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৮৪ বছরের চাঁদু বোরদে। ২০০০ সালে যুবি যখন একদিনের দলে ডাক পান তখন চাঁদু বোরদে ছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান। তিনি বলেন,‘ যুবির প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। ওর জোশ ছিল দেখার মতো। বাঁ-হাতি স্পিনার হিসাবেও চোখ টেনেছিল আমাদের। নাইরোবির সেই টুর্নামেন্টে যুবিকে পাঠিয়ে যে আমরা ভুল করিনি তা এখন প্রমাণিত।’
পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার বলেছেন,‘ ওর মতো স্টাইলিশ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মনে হয় না ভারত কোনও দিন পাবে। ওকে আমি প্রথম দেখি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে। সেদিন আমাদের হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল যুবরাজ। সেদিনই বুঝেছিলাম ওর জাত। আর ২০১১ বিশ্বকাপে ও টুর্নামেন্টের সেরা হয়। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপেও নায়কের নাম যুবি। ক্রিস ব্রডকে এক ওভারে ছ’টি ছক্কা মারা তো ইতিহাস!’
রহিত শর্মা মনে করেন, বোর্ডের উচিত ছিল যুবির জন্য একটি ফেয়ার ওয়েল ম্যাচের ব্যবস্থা করা। এই ব্যাপারে বোর্ড কথা দিয়েও কথা রাখেননি।