কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ধাওয়ানের জায়গায় আপাতত ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পরিবর্ত হিসাবে কাউকে নেওয়া হচ্ছে না। তবে ধাওয়ানকে যদি চিকিৎসার জন্য দেশে ফেরত পাঠানো হত, তাহলে দিল্লিরই আর এক ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার সুযোগ পেতেন। কারণ, বিশ্বকাপ দলে ঋষভ সুযোগ না পাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল জাতীয় নির্বাচকদের। এম এস কে প্রসাদের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচক কমিটি ঋষভের জায়গায় অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিককে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে বেছে নিয়েছিলেন। যা ‘টিম ইন্ডিয়া’র সমর্থকরা অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও অনেকে বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। স্ট্যান্ডবাই হিসাবে অম্বাতি রায়াডু, শ্রেয়াস আয়ারের সঙ্গে নাম রয়েছে ঋষভেরও। তবে সব দিক বিচার-বিবেচনা করার পর মনে করা হচ্ছিল, পাল্লা ভারি ঋষভেরই। প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর, কেভিন পিটারসেনরাও ঋষভের হয়েই ব্যাট ধরেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ধাওয়ানের পরিবর্ত এখনই চাইছে না। কারণ, অন্য কোনও ক্রিকেটারকে তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হলে ধাওয়ানের বিশ্বকাপে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, ভারতীয় স্কোয়াডের কোনও ক্রিকেটার চোট পেলে তবেই ধাওয়ান কামব্যাক করতে পারতেন। জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর তিন সদস্য এম এস কে প্রসাদ, শরণদীপ সিং ও দেবাং গান্ধী এখন ভারতীয় দলের সঙ্গে নটিংহ্যামে আছেন। তাঁদের সঙ্গে নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের এক প্রস্থ কথাও হয়। চোট সারিয়ে উঠতে ধাওয়ানের ঠিক কতটা সময় লাগবে, সেটাই জানতে মরিয়া ছিলেন কোচ রবি শাস্ত্রী, ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। কারণ, তাঁরা জানেন ইংল্যান্ডের মাটিতে ধাওয়ানের বিকল্প পাওয়া কঠিন! ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট টিম ম্যানেজমেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, ধাওয়ানকে তিনটি ম্যাচ পরেই খেলানো যেতে পারে। সেটা জানার পরেই কোচ রবি শাস্ত্রী জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধানকে ডেকে জানিয়ে দেন, এখনই কোনও পরিবর্ত খেলোয়াড় উড়িয়ে আনার প্রয়োজন নেই।
গত রবিবার ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান ধাওয়ান। প্রথম দিকে চোটের গুরুত্ব বোঝা যায়নি। আঙুলে স্প্রে করে ফের তিনি ব্যাটিং করেন এবং সেঞ্চুরি হাঁকান। ইনিংসের বিরতিতে আঙুলে যন্ত্রণা বাড়ে। ধাওয়ান আর ফিল্ডিং করতে পারেননি। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন রবীন্দ্র জাদেজা। ড্রেসিংরুমে বসে আঙুলে বরফ ঘষতেও দেখা গিয়েছিল ধাওয়ানকে। তখনই বোঝা গিয়েছিল, চোট বেশ গুরুতর। পরের দিন ভারতীয় দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্টের থেকে ধাওয়ানের চোটের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় বিসিসিআই। তখনই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়, লিডসে গিয়ে ভারতীয় ওপেনারটির ভাঙা আঙুলে স্ক্যান করানোর জন্য। সেই মতো ধাওয়ানের বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে স্ক্যান হয়। তখনই আঙুলে চিড় ধরার তথ্য সামনে আসে। চিকিৎসকরা স্ক্যান রিপোর্ট দেখার পর ধাওয়ানকে তিন সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন, ধাওয়ান দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডেই থাকবেন, না কি দেশে ফিরে আসবেন? শিখর ধাওয়ানের চোট নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের পক্ষে বড় ধাক্কা। ওপেনিং জুটিতে শিখর ধাওয়ান –রহিত শর্মা দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। তাঁদের বোঝাপড়াও খুব ভালো। তাছাড়া ডান-বাঁ-হাতি কম্বিনেশনের ব্যাপারটি দারুণ কাজে দিচ্ছিল। তাহলে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শিখর ধাওয়ানের জায়গায় ওপেনিং জুটিতে রহিতের সঙ্গী কে হবেন? সম্ভবত চার নম্বর থেকে লোকেশ রাহুলকে তুলে আনা হবে ওপেনিং স্লটে। কারণ, আইপিএলে লোকেশ ওপেন করেন। কিন্তু রহিত ও রাহুল—দু’জনেই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের আগে নিঃসন্দেহে চাপে ছিলেন শিখর। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে তাঁর ব্যাটিং গড় খুবই ভালো। আইসিসি’র টুর্নামেন্টেও তাঁর সাফল্যের ধারে কাছে নেই বর্তমান ভারতীয় দলের আর কোনও সদস্য। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হতাশ করেছিলেন তিনি। তবুও টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর আস্থা রেখেছিল। সেই আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঝোড়ো ১১৭ রান করেছিলেন শিখর। অতীতেও চোট সমস্যা তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।