দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
কালনার এসডিপিও রাকেশকুমার চৌধুরী বলেন, পুকুর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওর মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্গিস স্থানীয় খরিনান উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তায় পড়েন। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। রাতভর চারদিকে খোঁজ চালিয়েও সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫কিলোমিটার দূরে ধর্মডাঙা গ্রামের পুকুরে দেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিন দুপসা গ্রামে ছাত্রীর বাড়িতে গেলে দেখা যায়, গ্রামের বাসিন্দা ও ছাত্রীর সহপাঠীরা ভিড় জমিয়েছেন। বাড়ি থেকে কান্নার রোল ভেসে আসে। মেয়েকে হারিয়ে শোকে পাথর মা মহুয়া বিবির দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। মাঝেমধ্যে শুধু বলেই চলেছেন, ‘মেয়ে পড়াশোনা নিয়ে থাকে। সন্ধ্যাবেলা মোবাইল সারাতে যাবে বলে হঠাৎ বেরিয়ে গেল। কখন ফিরবে? এসেই বলবে মা খেতে দাও।’ প্রতিবেশীরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। বাইকে বা অন্য কোনওভাবে গ্রাম থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, নাকি ওই কিশোরী একাই গ্রাম থেকে বেরিয়েছিল সেব্যাপারে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। নান্দাই থেকে ধর্মডাঙা পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মৃতার দাদু লোকমান মণ্ডল বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন সকাল ৬টা নাগাদ আমরা ধর্মডাঙা গ্রামে একটি পুকুরে ওর দেহে ভাসতে দেখা যায়। এই ঘটনায় একজন নয়, একাধিক দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে। পুলিসকে সব জানানো হয়েছে। আমরা চাই পুলিস তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক। এলাকার বাসিন্দারাও দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।