কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
রানাঘাট-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সরকার বলেন, মঙ্গলদ্বীপ পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে যেটুকু পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে ডিসেম্বরেও পর্যটকদের আনাগোনা বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই সরকারি নির্দেশিকা মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ করতে হয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও পর্যটকদের আনাগোনা হবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়তেই রাজ্যের পাশাপাশি জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত বছর শেষের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই কড়া বিধি-নিষেধ জারি হয়। আর এতেই জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যবসায় ভাটা পড়তে শুরু করে।
রানাঘাট শিবপুর ঘাটের বাসিন্দা সুরেশ ঘোষ বলেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মঙ্গলদ্বীপ পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছিল। নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বহু মানুষ এখানে পিকনিক করতে আসেন। স্থানীয়দের অনেকেই পর্যটন নির্ভর ছোট ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু গত দু’বছর ধরে করোনার কারণে পর্যটন কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসার হাল খুবই খারাপ। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেই আশাতেই দিন গুনছি।
অন্যদিকে, ১৯৫৮ সালে কৃষ্ণনগর মহকুমার বেথুয়াডহরিতে প্রথম বনসৃজনের কাজ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে একে সরকারিভাবে বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ৬৭ হেক্টর জমিতে থাকা অভয়ারণ্য নদীয়ার পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে। সবুজে ঘেরা এই অরণ্যের বিশেষ আকর্ষণ হরিণ, প্রায় দেড়শো প্রজাতির পাখি, পাইথন, খরগোশ ইত্যাদি। সেইসঙ্গে অভয়ারণ্যের নতুন অতিথি ‘ম্যাকাও’ দেখতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে অভয়ারণ্যে কার্যত থিকথিকে ভিড় ছিল। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই ফের বন্ধ হয়ে যায় অভয়ারণ্যের দরজা। মরশুমের রবিবারও সেখানে মানবহীন নিস্তব্ধতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বনবিভাগের এক কর্তা বলেন, অভয়ারণ্যে প্রবেশের জন্য গত ১ জানুয়ারি সাতশোর বেশি প্রবেশের টিকিট বিক্রি হয়েছিল। শুধুমাত্র ওইদিনই প্রায় এক লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু তারপরই ফের করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তাই রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির মতো বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই অভয়ারণ্যের বাইরে ছোট ছোট দোকান চালিয়ে জীবিকা চালান। তাঁরাও এখন সমস্যায় পড়েছেন। মাধুরী দেবনাথ নামে স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, লকডাউনের পর ফরেস্টের পাশে খাবারের দোকান চালু করি। ব্যবসা ভালোই চলছিল। ভেবেছিলাম শীতের কয়েক মাস রুটিরুজি ভালোই হবে। কিন্তু তা আর হল কই!