কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, অতিমারীর কারণে বেশ কয়েকদিন সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে সামনে বিয়ের মরশুমের কথা মাথায় রেখে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য এখনই হোটেলগুলি সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হচ্ছে না।
হোটেলে ২৫শতাংশ ঘর বুকিংয়ের নির্দেশ দেওয়ার আগেই পর্যটক সংখ্যা কম হলেও রবিবার সকাল থেকেই তারাপীঠে হোটেল খুলে যায়। নবান্নের জারি হওয়া বিধিনিষেধেও হোটেল বন্ধের কোনও উল্লেখ নেই, তাই হোটেল খোলা রাখার ব্যাপারে সায় দেয় হোটেল অ্যাসোসিয়েশন। যদিও রামপুরহাটের মহকুমা শাসক হোটেল খোলা নিয়ে নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে জানান। পরে অবশ্য ২৫ শতাংশ রুম ভাড়া দিয়ে হোটেল খোলা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে বেশকিছু বিধি-নিষেধ জারি করে নবান্ন। পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। দীঘা, দার্জিলিং, বোলপুর সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও তারাপীঠ মন্দির ও হোটেল খোলা ছিল। পর্যটকদের আনাগোনাও স্বাভাবিক ছিল। গত মঙ্গলবার মন্দির কমিটি ও হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানেই ঠিক হয়, মন্দিরে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। মাস্ক ব্যবহার ও দুরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। একইভাবে হোটেলগুলিকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি অনলাইন বুকিং বন্ধ করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছিল। অবশেষে গত ৯ জানুয়ারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত হোটেল খালি করার জন্য বলা হয়। হোটেল অ্যাসোসিয়েশনও ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেই সময়সীমা পেরতেই এদিন সকাল থেকে হোটেলগুলি খুলে দেওয়া হয়। বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা সত্ত্বেও হোটেলগুলি চালু হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে হোটেল বন্ধ করেছিলাম। এদিন নিজেরাই হোটেলগুলি খুলে দিলাম। তাছাড়া বিধিনিষেধে হোটেল বন্ধের কোনও উল্লেখ নেই। তবে অনলাইন বুকিং বন্ধ রয়েছে। হোটেল মালিকরা বলেন, টানা লকডাউন ও করোনা মহামারীর কারণে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ এমনিতেই অস্তিত্বের সঙ্কটে। এই অবস্থায় হোটেল টানা বন্ধ রাখলে আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে পড়তে হবে। তাঁরা বলেন, মন্দির খোলা থাকায় পুণ্যার্থীরা আসছেন। হোটেল না পেয়ে তাঁদের ঠান্ডার মধ্যে বাইরে রাত কাটাতে হচ্ছে।
রামপুরহাটের মহকুমাশাসক তথা তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সিইও সাদ্দাম নাভাস জানান, জেলা প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তমতো সর্বত্র হোটেল বন্ধ ছিল। এবার ২৫ শতাংশ রুম ভাড়া দিয়ে হোটেল খোলা যাবে। তবে পর্যটকদের জন্য নয় বলে পরিষ্কার জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি আরও বলেন, অনেকে বিয়ে বা বিভিন্ন কাজে হোটেল ভাড়া নেন। তাঁদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।