কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
টিকাকরণের এক বছর পূর্তি পার হলেও এখনও শহরের বহু বাসিন্দা যে টিকা নেননি সেই দৃশ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের অবাক করছে। দুয়ারে ভ্যাকসিন পেয়ে টিকা নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি অনেকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার উৎসাহ ছিল না। বহু মানুষ আর টিকা নিতে চাইছিলেন না। এমনকী, দ্বিতীয় ডোজও অনেকে নিতে চাইছিলেন না। কিন্তু আচমকা করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে অনেকেই এখন চিন্তায় পড়েছেন। তাই ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন। ফলে সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য একাধিক ক্যাম্প করা হচ্ছে। এমনকী, নতুন বছরের শুরুতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সাধারণ মানুষকে টিকাকরণের সুবিধা দিতে চেয়েছিল সরকার। তবে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু টিকাকরণে ইতি টানা যাবে না। তাই বাড়ির দুয়ারেই পৌঁছে যাচ্ছে ভ্যাকসিন গাড়ি। মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাসিন্দারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, ছ’টি ভ্যাকসিন ভ্যান আপাতত শহরে ঘুরে টিকা দিচ্ছে। তিনটি ভ্যানে কোভ্যাকসিন ও তিনটি ভ্যানে কোভিশিল্ড আছে। জেলার সমস্ত মহকুমায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার জন্য ভালো সাড়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার ফলে সোমবার থেকে গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের ছ’টি ভ্যান পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ভ্যাকসিন নিতে সাহায্য করেছে। জগন্নাথ ঘাট, জংলিবাবার আশ্রম, দেশবন্ধু ক্লাব, খাগড়া ব্যবসায়ী সমতি, দয়ানগর অমল সুভাষ সঙ্ঘ, গৌরাঙ্গতলা মন্দির এলাকায় ভ্যানগুলি ঘুরে ভ্যাকসিন দিয়েছে। পাশাপাশি পুরসভার তরফে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি পুরসভার তরফে চারটি মোবাইল ভ্যানে ভ্যাকসিন দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষের ভ্যাকসিন নিতে আর কোনও সমস্যা হচ্ছে না। পুরসভার প্রশাসক স্বরূপ সাহা বলেন, দুয়ারে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য চারটি গাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। এর সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডেই স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। এব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, সরকার যেমন দুয়ারে ভ্যাকসিনেশন দিচ্ছে তেমনই দুয়ারে পরীক্ষা করা হোক। সরকার ঘোষণা করেছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ডবল ডোজ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। দেশের অর্ধেক মানুষেরই এখনও ভ্যাকসিন হয়নি। কেন্দ্র ভ্যাকসিনেশন নিয়ে ঢোল বাজাচ্ছে। কিন্তু নিজের কথায় নিজে রাখতে পারছে না। এদিকে রাজ্য সরকারও দরজায় ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে ঢাক পেটাচ্ছে। বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, ভ্যাকসিন পার্টি দিচ্ছে। যত ভোট আসবে তত দুয়ারে ভ্যাকসিনের ঢোল বাজবে।