কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে নাম লেখানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। এবার বামফ্রন্ট থেকেও অনেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। এদিন রামপুরহাটের দলীয় কার্যালয়ে আশিসবাবুর হাত ধরে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা কমিটির সক্রিয় সদস্য তথা দলের ট্রেড ইউনিয়নগুলির জেলা সম্পাদক স্বপন সর্দার, রামপুরহাট লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা জেলা কমিটির সদস্য শম্ভু সিং, যুব লিগের জেলা সম্পাদক হিমেল ইব্রাহিম ও সভাপতি তথা জেলা কমিটির সদস্য মহম্মদ সিরাজ, রামপুরহাট শহর সম্পাদক বরুণ লালা সহ অনেকে তৃণমূলে এলেন।
আশিসবাবু বলেন, নেতাজির আদর্শই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে। তাই নেত্রীর আদর্শের প্রতি আস্থা রেখেই ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিলেন। কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে এই দলবদল হওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে বড় অনুষ্ঠান করা হল না। তাই নেতৃত্ব ও কিছু কর্মী-সমর্থকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বাকিদেরও দলে নেওয়া হল। স্বপনবাবু বলেন, নেতাজির মূল লক্ষ্য ছিল দিল্লির মসনদে বসে যারা বাংলাকে বঞ্চিত করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একই উদ্দেশ্য নিয়ে ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা চলছে। কখনও ত্রিপুরা, কখনও গোয়া, বাংলার আবেগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতাজিকে নিয়ে যে ভাবনা ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের, বর্তমানে সেই ভাবনা নিয়ে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উন্নয়নমূলক কাজ দেখেই এই দলবদল।
যদিও ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা আজ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা এর আগেও অন্যদল থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকে এসেছিলেন। বামপন্থী দলে থেকে তাঁরা তাঁদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারছিলেন না। দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছিলেন। চলে যাওয়ায় ভালো হয়েছে। উল্লেখ্য, রামপুরহাট বিধানসভা আসনে বরাবরই প্রার্থী দিয়ে এসেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। ফলে শহরে বেশকিছু-কর্মী সমর্থক রয়েছে তাদের। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন সিপিএমের এক জেলা নেতৃত্ব। ভোটের ফলাফলের নিরিখে রামপুরহাট শহরে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টিতে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। কারণ পর্যালোচনা করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনেক আগেই পরিকল্পনা নেয় শাসকদল। যোগদান কর্মসূচি সহ নির্বাচনে দলের যারা সাবতাজ করেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে দল। লক্ষ্য, আসন্ন পুরভোটে ১৮টি আসনেই জয়লাভ করা। সেইমতো প্রার্থী বাছাইও শুরু করেছে তৃণমূল। অধিকাংশ ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ নিয়ে আসা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রথম সারির নেতাদের যোগদানের ফলে তৃণমূলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।