পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের ... বিশদ
মালদহের মানিকচকের বাসিন্দা রসিক। এখন তাঁর বয়স ১০৪ বছর। টলমল শরীরে অশীতিপর বৃদ্ধ যখন জেলের বাইরে আসেন তখন তাঁর চোখের কোণে জল। ভাঙা গলায় তিনি জানান, বাকি জীবনটা তিনি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান। শুধু তাই নয়, বাড়িতে একটি বাগান তৈরি করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, "কত বছর জেলে কাটিয়েছি তা আর মনে নেই। কোনওদিন মুক্তি পাব তাও ভাবিনি। এখন আমার অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো আমি পূরণ করতে চাই। বাড়িতে একটি ছোট বাগান বানাব। বাকি জীবনটা আমি আমার পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চাই।" পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, তিনি নির্দোষ। শুধু মাত্র পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
প্রসঙ্গতঃ, ২০২০ সালে রসিক এক বছরের জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। কিন্তু প্যারোলের মেয়াদ শেষ হতেই ফের তাঁকে ফিরে যেতে হয় মালদহ জেলা সংশোধনাগারে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেও তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে আদালত।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় রায় ঘোষণা করে জানায়, কারাগারে একটি নির্দিষ্ট সময় কাটানোর পর প্রত্যেক বন্দিরই মুক্তি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি তিনি কারাবাসের সময় কোনও অনুচিত কাজ না করে থাকেন। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রসিকের জামিন মঞ্জুর করে। গতকালই এ বিষয়ক নির্দেশনামা মালদহ জেলা সংশোধনাগারে পৌঁছয়। তারপরই তিনি মুক্তি পান। বাড়ি যাওয়ার পথে বৃদ্ধ রসিক আবেগঘন হয়ে বলেন, “ আমি খুশি আমি বাড়ি ফিরছি। এই জেলকে আমি কোনও দিনও ভুলতে পারব না।”