উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, রোগীকে স্ট্রেচারে চাপিয়ে অপেক্ষা করার সময় তাঁরা দেখেন লিফ্ট থেকে একটা একটা করে ইট নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। ভাতের গরম ফ্যান পড়ে ঝলসে গিয়েছিল এক শিশু। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন পরিবারের লোকরা। আহত শিশুর মা সুনীতা সিং বলেন, আমার ছেলের শরীর ঝলসে গিয়েছিল। এদিন হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে দেখি লিফট থেকে ইট, বালি নামানো হচ্ছে। এদিকে আমার ছেলে যন্ত্রণায় কাতরালেও তাকে লিফ্টে করে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। এদিন বেশকিছু রোগীকে নিয়ে একই সমস্যা হয়েছে পরিজনদের।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নয় ও দশতলায় নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় ইট সহ অন্য সামগ্রী নিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সময় মালপত্র নিয়ে যেতেও লিফট ব্যবহার করা হয়। মেডিক্যালে চারটি লিফ্ট থাকলেও বেশির ভাগ সময় দেখা যায় একাধিক অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকিগুলির সামনে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন না বলে খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।
মেডিক্যালের এক কর্মী বলেন, এখানে র্যাম্পের ব্যবস্থা নেই বলে একতলা থেকে বাকি ওয়ার্ডে মালপত্র নিয়ে যেতে লিফ্ট ব্যবহার করতে হয়। সেজন্যই রোগীদের সমস্যা হয় মাঝে মধ্যে। যদিও এদিনের ঘটনায় স্বাস্থ্যভবন ও নিরাপত্তারক্ষীদের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন এবং স্বাস্থ্য ভবন বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারবে। লিফ্টে কেন ইট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা দেখার দায়িত্ব নিরাপত্তাকর্মীদের। অনেকবার এই বিষয়ে তাদের বলা বলেও ভ্রুক্ষেপ করা হয়নি। (লিফ্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট।-নিজস্ব চিত্র)