শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বুধবার রাতে এ ব্যাপারে উপপ্রধান লিপিকাদেবীর স্বামী বিভূতি বর্মা থানার দ্বারস্থ হন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগ, গত শনিবার রাতে বাড়ি থেকে উপপ্রধানকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে এখনও খোঁজ নেই তাঁর। এ নিয়ে চিন্তায় উপপ্রধানের পরিবার। তাঁর স্বামী বক্সিরহাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে বারোকোদালি-২ পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি। ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে যায় ন’টি। অন্যদিকে, তৃণমূল পেয়েছিল সাতটি। বিজেপি শাসিত বারোকোদালি-২ পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু বর্মনকেও সম্প্রতি অপহরণ করা হয় বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ আনা হয়। তাদের দাবি ছিল, প্রধানকে তৃণমূল অপহরণ করেছে। উপপ্রধানের ক্ষেত্রেও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ নস্যাৎ করে দলেরই একাংশের যোগ থাকতে পারে বলে অভিযোগ উপপ্রধানের স্বামীর। প্রধান নিখোঁজের পর যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। তিনি ফিরে এসে তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখান। প্রধান দলবদল করায় পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপি সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৮-৮।
স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে দলের এক মণ্ডল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিভূতিবাবু। তিনি বলেন, প্রধান তৃণমূলে যোগ দিতেই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আমার স্ত্রীও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। সেকারণে ওরা আমার স্ত্রীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্ত্রীর সম্মানহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীর হদিশ পাইনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস ব্যবস্থা নিক। বিজেপির ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি রঞ্জন রাভা বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। তৃণমূল চক্রান্ত করে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে লাভ হবে না। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সহ সভাপতি নিরঞ্জন সরকার বলেন, নিজেদের দলের উপপ্রধানের উপর ওরা আর ভরসা রাখতে পারছেন না। আসলে পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ভয়ে এসব নাটক করেছে বিজেপি। বক্সিরহাট থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।