দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারে বাংলাদেশে আব্দুলের যাতায়াত ছিল। জটিয়াকালীতে উদ্ধার হওয়া সিমবক্স আব্দুল বাংলাদেশ থেকে এনে দিয়েছিল ধৃত সাবির আলিকে। তদন্তকারী এক গোয়েন্দা অফিসার বলেন, এই সিমবক্সকাণ্ডে বাংলাদেশের এক বা একাধিক ব্যক্তি জড়িত। আব্দুলের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ রেখে কাজ করত। তাই আব্দুলকে জেরা করে বাংলাদেশের কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, কি উদ্দেশ্যে তারা একাজ করত এরকম বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। আব্দুল সিমবক্সকাণ্ডের অন্যতম পান্ডা।
ফুলবাড়ির জটিয়াকালীতে মোবাইল ও ফোটোকপির দোকানের আড়ালে চলত আন্তর্জাতিক এই সাইবার চক্র। সিমবক্স ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল করা হতো। এতে কোথায় ফোন করা হচ্ছে তা সহজে ধরা যেত না। মোবাইল ও ফটোকপির দোকান ছিল সন্ন্যসীকাটার বাসিন্দা সাবির আলির। সেই দোকানেই চলত এই অবৈধ কারবার। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে গত ১৬ মে দুপুরে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও এনজেপি থানা হানা দেয় সাবির আলির দোকানে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক সিমকার্ড, সিমবক্স, ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি ও বেশকিছু মেশিন উদ্ধার করেছিল। নকল আধার, ভুয়ো সিম ও আন্তর্জাতিক ফোন কল ব্যবহারের জন্য সাবির আলিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস।
সাবিরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অসাধু চক্রের যোগাযোগের সম্ভাবনা থাকায় এর তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি মেট্রেপলিটন পুলিসের গোয়েন্দা শাখাকে। তারা তদন্তে নেমে এনজেপি এলাকা থেকে দয়াল বর্মন ও রাজু রায়কে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু’জনও এই অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে পুলিস জেরার করে আব্দুলের হদিশ পায়। সেই সূত্র মতো তার খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু তার খোঁজ মিলছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেরুবাড়ি থেকে আব্দুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।