সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
তুফানগঞ্জের দেওচড়াইতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিয়ে দলের অন্দরে অনেকদিন ধরেই কোন্দল রয়েছে।
এখানে ফারুক মণ্ডল জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের আমলে অঞ্চল সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। আবার নাটাবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এখানে মজিবর রহমানকে অঞ্চল সভাপতি হিসেবে একসময়ে নিয়োগ করেছিলেন। শনিবার বিকেলে এক গোষ্ঠীর এক সদস্যকে অপর গোষ্ঠীর সদস্য চড় মারে বলে অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদ করায় এদিন সকালে বেশকিছু তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। অপরদিকে, অপর গোষ্ঠীর দাবি, পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে এদিন অর্তকিতে তাদের কর্মী সমর্থকদের উপরে আক্রমণ চালানো হয়। এতেই অনেকে আহত হন। আহতরা কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ, কোচবিহারের মিশন হাসপাতাল ও তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন।
ফারুক মণ্ডল বলেন, কৃষ্ণপুরে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। যাঁদের বাড়িতে আক্রমণ করে তাঁরা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে মারপিট বেঁধে যায়। এতেই বেশকয়েক জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কী হয়েছে তা দল তদন্ত করে দেখুক। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক।
মজিবর সাহেব বলেন, কৃষ্ণপুর বাজারে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন। তাঁদের কোচবিহার মেডিক্যালে চিকিৎসা চলছে। শান্ত জায়গাকে এভাবে কেউ কেউ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে কেউ যদি মারপিট করে তার দায় দলের নয়। দলের মধ্যে বিবাদ যদি থাকে তাহলে অঞ্চল সভাপতি ব্লককে জানাবেন। ব্লক প্রয়োজন হলে জেলাকে জানাবে। জেলা নেতৃত্ব সমস্যার সমাধান করবে। কে অঞ্চল সভাপতি, এ প্রশ্নে গিরীনবাবু বলেন, এটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটা পুরনো বিতর্ক। খুব শীঘ্রই দলের অঞ্চল সভাপতি পরিবর্তন হবে। তাই এটা নিয়ে আমি এখনই আর কোনও মন্তব্য করব না। স্থানীয় ও দল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওচড়াইয়ের কৃষ্ণপুরে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস রয়েছে। ফারুক মণ্ডলদের অভিযোগ, শনিবার সকালে তাঁদের এক সমর্থককে চড় মারে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক। তাঁদের লোকজনদের দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পার্টি অফিসে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না। সন্ধ্যায় কিছু সমর্থক পার্টি অফিসে গিয়েছিল। সেই রাগেই এদিন সকালে তাঁদের উপরে হামলা করা হয়। তাঁদের বাড়ির এলাকায় চড়াও হয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।এদিকে মজিবর রহমানের দাবি, এলাকার পার্টি অফিসে অনেকেই বসেন। সেখান থেকে ফেরার পথে যাঁকে যেখানে পাওয়া গিয়েছে তাঁকে সেখানেই মারধর করা হয়েছে। এতে অনেকেই গুরুতর জখম হন। লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আক্রমণ করা হয়। তুফানগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।