সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
পলাশবাড়ির এই ভুঁইঞা বাড়ির পুজো এবছর ১৭৫ বছরে পা দিল। ভুঁইঞা বাড়ির পুজোয় মা মৃন্ময়ীর মুখ হয় লাল রংয়ের। ভুঁইঞা বাড়ির পুজোয় মা অজন্তার আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, এখানে কার্তিকের জায়গায় গণেশ ও গণেশের জায়গায় কার্তিক থাকে। শাস্ত্রীয় অনুশাসন মেনে আজও ভুঁইঞা বাড়িতে মায়ের পুজো হয় পুরনো কাঠামোতে। ভুঁইঞা বাড়ির পুজোয় মায়ের মুখের রং লাল হওয়ার পিছনেও লোকগাঁথা জড়িয়ে আছে। অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার কেদারবাড়ি গ্রামে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন ভুঁইঞাদের পূর্ব পুরুষ তিতারাম ভুঁইঞা। কথিত আছে, মা দুর্গা রাগান্বিত লাল মুখ করে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন তিতারামকে। সেই থেকে ভুঁইঞা বাড়ির পুজোয় মায়ের মুখে লাল রংয়ের প্রলেপ দেওয়া হয়। এরপর দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে তিতারাম ভুঁইঞার উত্তর পুরুষরা চলে আসেন সাবেক জলপইগুড়ি জেলার আলিপুরদুয়ারের পলাশবাড়িতে। তোর্সা নদীর ধারে পলাশবাড়িতে প্রথম এই পারিবারিক পুজোর প্রচলন করেন ভুঁইঞাদের উত্তর পুরুষ ক্ষেত্রমোহন ভুঁইঞা। বাংলাদেশ থেকে আসার সময় ভুঁইঞারা মায়ের পুরনো কাঠামো সঙ্গে করে নিয়ে আসেন পলাশবাড়িতে। সেই থেকে পলাশবাড়িতে মা পুরনো কাঠামোতে আজও পুজিতা হচ্ছেন। ভুঁইঞা বাড়ির বর্তমান সদস্য মানিকলাল ভুঁইঞা ও জ্যোতিপ্রকাশ ভুঁইঞা জানান, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে স্থানীয় মন্দিরে তাঁদের এই পারিবারিক পুজো হয়। ইতিমধ্যেই স্থায়ী মন্দিরে মায়ের মুর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শালকুমারের মৃৎশিল্পী সুভাষ রায় মায়ের মুর্তি তৈরি করছেন। বংশের পূর্ব পুরুষদের শুরু করা প্রাচীন আচার নিয়মে এখনও আমাদের পুজো হয়। পলাশবাড়ির ভুঁইঞা পরিবারের নবীন প্রজন্মরা সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন ব্যবসা ও চাকরির সূত্রে। পুজোর কয়েক দিন তাঁরা সবাই বাড়িতে চলে আসেন। পুজোতেই তাদের পারিবারিক পুনর্মিলন উৎসব হয়। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণের জেরে সেই পারিবারিক পুনর্মিলন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানালেন ভুঁইঞাদের নবীন প্রজন্মের মহিলা সদস্য মলি ভুঁইঞা।