সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
মহকুমা হাসপাতালের অস্থিরোগের একজনমাত্র চিকিৎসক ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ায় প্রায় একবছর ধরে অর্থপেডিক বিভাগ বন্ধ হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বন্ধ থাকায় মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা সমস্যায় পড়ছিলেন। পড়ে গিয়ে হাড়ে চোটআঘাত পেলে কিংবা দুর্ঘটনায় হাড়ের কোনও ক্ষতি হলে তখন সরকারি পরিষেবা পেতে রোগীকে কষ্ট করেই কোচবিহার মেডিক্যালে যেতে হতো। তাই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছিল দ্রুত দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে আগে অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বাস্থ্যদপ্তর নিয়োগ করুক। সেই চিকিৎসক আসায় এবার এখানেই অস্থিরোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী সবই কম আছে। একবছর অর্থপেডিক বিভাগে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।
দু’সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্যদপ্তর একজন অর্থপেডিক এবং একজন ইএনটি চিকিৎসককে এখানে পোস্টিং দেয়। তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকি শূন্যপদ পূরণের জন্য আমরা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে আর্জি রেখেছি। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ক’বছরে বিভিন্ন বিভাগের পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেও চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, সাফাই কর্মী অনেকটাই কম থাকায় পরিষেবার মান পড়ে যাচ্ছে। এই হাসপাতালে ৩২৬টি বেড আছে। অধিকাংশই বেডেই বছরের বেশিরভাগ সময়ে রোগী ভর্তি থাকে। প্রতিদিন গড়ে হাজার দেড়ের রোগী আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা নেন। হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকের পদ ৫৮টি। কিন্তু, ২৮ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে এই মহকুমা হাসপাতাল। নার্সের সংখ্যাও কম এখানে। নার্সের ১২৫টি পদ, কিন্তু আছেন ৯৮ জন নার্স। ৫০ জন সাফাই কর্মীর জায়গায় ১১ জন দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। একবছর আগে অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকের পাশাপাশি চক্ষু বিভাগের দু’জন, সার্জারি, পেডিয়াট্রিক বিভাগের একজন চিকিৎসক ও একজন অ্যানাস্থেটিস্ট উচ্চশিক্ষার জন্য লম্বা ছুটি নিয়ে চলে যান। ওই সময় থেকে হাসপাতালে অস্থিরোগের চিকিৎসক ছিলেন না।