সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
মহালয়ার পর থেকে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন বস্ত্র বিক্রেতারা। বর্তমানে যা জামা কাপড় বিক্রি হচ্ছে তাতে এবারে পুজোতে কম দামের পোশাকের চাহিদা বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জেলার বস্ত্রবিপনী সংস্থা বিশেষ ছাড় দিচ্ছে কেনাকাটায়। গঙ্গারামপুর শহরের বুকে একাধিক শপিং মল খুলে যাওয়ায় ছোট কাপড় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে। জেলায় এবারে নতুন ধরনের পুজোর কালেকশন রয়েছে বস্ত্র বিক্রেতাদের দোকান ও শপিং মলগুলিতে। মেয়েদের জন্য এবারে পুজোর বিশেষ কালেকশন থাকছে ওয়ান পিস, ক্রপটপ গ্রাউন্ড, জিন্স, কুর্তা ও লেহেঙ্গা। এছাড়াও গৃহিণীদের জন্য থাকছে অরগেঞ্জ সিল্ক, কাশ্মীরি সিল্ক, পদ্মাবতী বুটিক, রাজ্যের তাঁতিদের তৈরি হ্যান্ডলুম ও বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি। ছেলেদের শেরওয়ানি, পাঠান পাঞ্জাবি, কুর্তা, শার্ট, ও টিশার্ট, জিন্স ও কটনের প্যান্টের চাহিদা বেড়েছে। জেলার বড় পোশাক বিক্রেতাদের আশঙ্কা, এবারে করোনার প্রভাবে আর্থিক সংকটে অনেকটাই ব্যবসা কম হবে। কারণ করোনার কারণে ক্রেতাদের পুজোর বাজেট কম।
গঙ্গারামপুরের বস্ত্র বিক্রেতা রাহুল আগারওয়াল বলেন, এবারে পুজোর বিক্রি এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। করোনার প্রভাবে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ায় তাদের বাজেট অনেক কমেছে। পুজোর বিভিন্ন ধরনের কালেকশন রাখলেও শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীরা কেনাকাটা শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষ এখনও পুজোর কেনাকাটা শুরু করেননি। আশা করছি মহালয়ার পর থেকে পুজোর বিক্রি বাড়বে। অনলাইনে জামাকাপড় বিক্রি ও অনেক শপিংমল খুলে যাওয়ায় আমাদেরও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় দিতে হচ্ছে।
পুজোর বাজার করতে আসা এক ক্রেতা প্রীতম সাহা বলেন, সরকারি কর্মচারী হওয়ার সুবাদে ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে বাজার করতে এসেছি। পুজোর বাজারে পোশাকের দোকানে আগে গিয়ে বাজার করার জন্য এসেছি। এবারে অনেকটাই ভিড় কম রয়েছে। পুজোর দিন কাছে আসলেই ভিড় বাড়তে থাকবে।