সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
প্রতিমা নির্মাতা প্রভাত চিত্রকর বলেন, বংশপরম্পরায় বড়দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করে আসছি। এখানে মায়ের গায়ের রঙ থেকে শুরু করে অনেক কিছু অন্যান্য দূর্গা প্রতিমার থেকে আলাদা। প্রতি বছরের মতো এবারও নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ হবে।
কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, বড়দেবীর প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখন খড়ের কাজ চলছে। মহালয়ার আগেই প্রতিমার কাজ শেষ করতে হবে। যাতে অমাবস্যার রাতে চোখে রঙের প্রলেপ দেওয়া যায়। তার পরের দিনই রঙের কাজ হয়।
কোচবিহারের বড়দেবীর প্রতিমা তৈরীর জন্য ময়নাকাঠের প্রয়োজন হয়। যা আগে বিধি মেনে পুজো করে মন্দিরে স্থাপন করা হয়। সেই ময়না কাঠের উপরেই প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। বড়দেবীর দশ হাত। এর মধ্যে ডান দিকের পাঁচ হাতে থাকে ত্রিশূল, খড়গ, অঙ্কুশ, তীর ও পরশুরামের কুঠার। বাঁ দিকের পাঁচ হাতে থাকে যথাক্রমে ঢাল, ধনুক, কাটার, সাপের লেজ ও একটি হাতে থাকে অসুরের মাথা। মায়ের গায়ের রঙ এখানে রক্তবর্ণা। অসুর সবুজ রঙের হয়ে থাকে। তার গায়ে পেচানো থাকে সাপ। অসুরের গায়ের নানা চিত্র আঁকা থাকে। মায়ের ডান দিকে থাকে সিংহ। বাঁ দিকে থাকে চিতাবাঘ। এছাড়াও মায়ের ডান দিকে জয়া ও বাঁ দিকে বিজয়া থাকেন। মায়ের ডান পায়ের নীচে থাকে কচ্ছপ ও বাঁ পায়ের নীচে থাকে মোষের দেহ। মায়ের পায়ের সামনের দিকে থাকে মোষের কাটা মাথা। বড়দেবীর প্রতিমার মুখ তৈরীর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থেকে মাটি আনা হয়। জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জের চামটা এলাকা থেকে এই মাটি নিয়ে আসা হয়। দেবীবাড়িতে মায়ের স্থায়ী মন্দির রয়েছে। বিরাট উচ্চতার এই মন্দিরে পঞ্চ উপাচারে বড়দেবীর নিত্যপুজো হয়। দুর্গা পুজোর আগে এখানেই একটি ট্রলির উপরে মায়ের প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। যাতে নিরঞ্জনের সময় প্রতিমা সহ ট্রলিটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। ডোডেয়ারহাটের বাসিন্দা প্রভাত চিত্রকর বংশপরম্পরায় এই প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। বছর ৫২-র প্রভাতবাবু গত ২৮ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে এই প্রতিমা নির্মাণ করছেন। বর্তমানে তিন জন সহকর্মী নিয়ে বিশাল আকারের এই প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে। এই প্রতিমাটি নির্মাণ করতে মোট ২১ দিন সময় লাগবে বলে প্রভাতবাবুর দাবি।