সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জনই হিলি ব্লকের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে পুলিস তল্লাশিতে নেমেছে। তারা বড়সড় পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিস জানিয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে এখনই পুলিস নাম প্রকাশ করেনি। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করত। তবে সম্প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। যার ফলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস ক্রেতা সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরে রবিবার ভোরে তারা হিলি থেকে কামারপাড়ায় ওই ট্যাবলেটগুলি বিক্রি করতে এলে পুলিস হাতেনাতে তিন জনকে ধরে ফেলে। সেই সঙ্গে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ৮০০০ ইয়াবা ট্যাবলেট ও বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
ওই ট্যাবলেটগুলির প্যাকেটে চিনা ভাষায় লেখা রয়েছে। যা থেকেই পুলিস অনুমান করেছে, সেগুলি চীন থেকে আনা হয়েছে। চীন, মায়ানমার, ভারত হয়ে সেগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। সেগুলি বিক্রি করে মোটা টাকা মুনাফা লাভ করার উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের বেশকিছু এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। আর সেই সুযোগকেই পাচারকারীরা কাজে লাগাচ্ছে। এদিকে সম্প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেটে বেশি লাভ হচ্ছে বলে পাচারকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই অন্যান্য সামগ্রীর তুলনায় ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের কাজে বেশি ঝুঁকছে পাচারকারীরা। এদিকে পাচারকারীরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের পাশাপাশি খুচরোও বিক্রি করত। শুধু হিলি সীমান্ত নয়, তপন ও বালুরঘাট দিয়েও সম্প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার হচ্ছে। তপন সীমান্তে মাস খানেক আগে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে বিএসএফ। যে সমস্ত জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, পাচারকারীরা কাজ হাসিলের উদ্দেশ্যে সেই জায়গাগুলিই বেছে নেয়। এছাড়া তারা অনেক সময় কাঁটাতারের বেড়ার উপর থেকে ছুঁড়ে সেগুলি ওপারে পাচার করে। মূলত বাংলাদেশে এই ইয়াবার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এগুলি নেশার কাজে ব্যবহার করা হয়। পাচারকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারের ক্ষেত্রে ছোট জিনিসে ঝুঁকি কম কিন্তু মুনাফা বেশি। একটি ছোট প্যাকেটেই কয়েক হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করা যায়। তাই ইয়াবা পাচারকারীদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত বরাবরাই পাচারকারীদের কাছে স্বর্গরাজ্যের মতো। অনেকটা এলাকায় কাঁটাতার না থাকায় অবাধে কাফ সিরাপ, গোরু, মাদক, মসলা দ্রব্য পাচার হয়। অতীতে বহুবার পুলিস ও বিএসএফ এসব সামগ্রী উদ্ধার করেছে। কিন্তু বর্তমানে ইয়াবা আগের সমস্ত সামগ্রীকে ছাপিয়ে গিয়েছে।