বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, সিআইডির একটি দল ও বামনগোলা থানার পুলিস ওই সাপের বিষ আটক করেছে। দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বামনগোলা থানার অফিসার ইন চার্জ অভিষেক তালুকদার বলেন, যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম কালাম ওরফে আলম মিঁয়া ও মসফিক আলম। দু’জনই দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতরা একটি বড় গাড়ি করে কাঁচের জারে রাখা সাপের বিষ পাচারের চেষ্টা করছিল। তখনই তাদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সঙ্গে ছিল বামনগোলা থানার পুলিসের একটি টিম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি হিলি সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে তারা ওই বিষ সংগ্রহ করে। তবে সীমান্ত পেরিয়ে ওই বিষ এসেছিল সাত থেকে আট মাস আগে। একটি কাঁচের পাত্রে তা লুকিয়ে রাখা হয় ধৃত একজনের বাড়িতে। এরপর সুযোগ বুঝে ওই বিষ কলকাতা সংলগ্ন কোনও এলাকায় পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল।
এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমিনুল নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ওই বিষ এসে পৌঁছয় পাচারকারীদের হাতে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক বিষ পাচার চক্রের অঙ্গ হতে পারে বলেও মত গোয়েন্দাদের। করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে এতদিন ওই বিষ পাচার করা সম্ভব হয়নি। এদিন সুযোগ বুঝে তা পাচারের চেষ্টা করা হয়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে গাজোল থানা এলাকা দিয়ে ওই বিষ পাচারের পরিকল্পনা ছিল। পরে তারা রুট পাল্টে বামনগোলার রাস্তা বেছে নেয়। সেখানেই ওঁত পেতেছিলেন গোয়েন্দা ও পুলিস কর্মীরা। উদ্ধার হওয়া ওই সাপের বিষের মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, উদ্ধার হওয়া বিষ রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য মহারাষ্ট্রে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যে গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে সেটির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের ওই পাচারকারী প্রথমে পাচার করার জন্য ৫০ হাজার টাকার টোপ দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ওই বিষ পাচারের জন্য।