বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মোট ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে মালদহের ৩০২টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের ১১৩টি নমুনা ছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের সবকটি নমুনার ফলই নেগেটিভ হয়েছে। অন্যদিকে, মালদহে মাত্র ২০টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। এনিয়ে মালদহ জেলায় মোট ২ হাজার ১৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। তারমধ্যে অবশ্য ১ হাজার ১৫০ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ অমিত দাঁ বলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে করোনা আক্রান্ত এক সিআইএসএফ জওয়ানকে বৃহস্পতিবার রাতে মালদহে আনা হয়। বছর আটান্নর ওই জওয়ান ফারাক্কার এনটিপিসি ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। ভিনরাজ্যে বাড়ি হওয়ায় মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন দেহ নিতে অস্বীকার করে। আমরা ওই জওয়ানের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করি। মেডিক্যালে ভর্তির আগে থেকেই ওই জওয়ানের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা ১১০০ ছাড়াল। এদিন আবার ২৫ জনের দেহে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১০৮ জন। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। বাকিরাও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে এদিন। তিনি মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। গতকাল শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করি দিয়েছিল পরিবারের লোক। এদিন মৃত্যুর পর তাঁর করোনা পরীক্ষার দাবি তোলেন পরিবারের সদস্যরা। তা নিয়ে কিছুটা উত্তেজনাও ছড়ায়। যদিও পরে তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলারই ডালখোলা শহরের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এঘটনায় ডালখোলায় শোকের ছায়া নেমেছে। ডালখোলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এনিয়ে ডালখোলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ জন। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুভাষ গোস্বামী বলেন, চিকিৎসকের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি এই শহরের বহু মানুষের চিকিৎসা করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। কোভিড ১৯’র ডালখোলার নোডাল অফিসার শুভদীপ নন্দী বলেন, অসুস্থ হওয়ার পরে তিনি শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে তাঁর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল।