বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এদিকে খুব শীঘ্রই তৃণমূলের জেলা কমিটি তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই নতুন জেলা কমিটিতে বিপ্লববাবু কোনও পদ পাবেন কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, দলের প্রতি অভিমান করে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। তবে বিজেপি আমাকে যোগ্য সম্মান দেয়নি। তাই নিজের ঘরে ফিরে এসেছি। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে দলের সংগঠনকে মজমুত করাই এখন আমার মূল লক্ষ্য। দল যে পদ দেবে, তা মাথা পেতে নেব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর পদে কিছুদিন আগেও ছিলেন সোনা পাল। তিনি বিপ্লব বিরোধী বলেই জেলা রাজনীতিতে পরিচিত। কাটমানি নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্কে জড়ান তিনি। এর পরই তিনি মেন্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন। এখনও পর্যন্ত ওই পদে নতুন করে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। আবার জেলায় তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পদেও আপাতত কেউ নেই। সেই পদে আগে ছিলেন গৌতম দাস। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলা সভাপতি। ফলে ফাঁকা থাকা এই দু’টি পদের মধ্যে কি একটি বিপ্লববাবুকে দেওয়া হতে পারে? তা নিয়েও চলছে জল্পনা।
তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি গৌতম দাস বিপ্লববাবুর হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছেন। জেলা রাজনীতিতেও তিনি বিপ্লব ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ফলে জেলায় দলের সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপ্লবের ‘বিশেষ পরামর্শদাতার’ ভূমিকা থাকবে কি না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নতুন নতুন সমীকরণ দেখতে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় আরও দিন দু’য়েক থাকবেন বিপ্লব মিত্র ও গৌতমবাবু। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেদিকেই এখন তাকিয়ে বিপ্লব অনুগামীরা। অন্যদিকে, বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় আমাদের দলের একটুও ক্ষতি হবে না। বরং তাঁর জন্য আমাদের দলের যেসব কর্মী অভিমান করে বসেছিলেন, তাঁরা এখন কাজ শুরু করে দেবেন।