বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
গোলমরিচ ও সুপারির চারা তৈরির জন্য ১০ কাঠা জমিতে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ৮৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধী দলনেতা বিজেপির। প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এদিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে নিয়ে বিডিও অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা উৎপল মজুমদার বলেন, এই ব্লকে দীর্ঘদিন ধরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কোনও কাজ হয়নি। জবকার্ডধারীরা কাজ চাইতে গেলে পাচ্ছেন না। লকডাউনের মধ্যেও কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন অনেকে। এরই মাঝে দেখা গেল, বিডিও অফিস চত্বরে গোলমরিচ ও সুপারির চারা তৈরির একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে চার-পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন। রাজনৈতিক রং দেখে শ্রমিকদের কাজে লাগানো হচ্ছে। পুরো প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ সাড়ে ৮৬ লক্ষ টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে প্রকল্পটি পাশ করা হয়েছে। এমনকি সমিতির কর্মাধ্যক্ষরাও জানেন না। উৎপলবাবুর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করার জন্যই এই প্রকল্পটি বেছে নেওয়া হয়েছে। এর আগেও ১০০ দিনের প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করলে কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে।এই অভিযোগ নিয়ে কালিয়াগঞ্জের বিডিও প্রসূনকুমার ধারা বলেন, আমি এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।
কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে এই প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ চলবে তিন বছর। ১০০ দিনের প্রকল্পে কেবল শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে। এটি পঞ্চায়েত সমিতির কোনও প্রকল্প নয়। প্রকল্পটির দেখভালও হচ্ছে জেলা থেকে। কোনও অনিয়ম হয়নি। যাবতীয় কাজ হচ্ছে সচ্ছতার সঙ্গে। বিজেপি উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।