বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
বিপ্লববাবুর তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল বুধবার রাত থেকেই। এদিন তাই বিপ্লব ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। বালুরঘাট থেকে বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর থেকে হরিরামপুরের বিপ্লব অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা অপেক্ষায় ছিলেন। ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাজি পটকা মজুত করে রেখেছিলেন। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য, গঙ্গারামপুর ও হরিরামপুরে অতিরিক্ত পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। যদিও পরে জানা যায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি.সোমেন মিত্রের মৃত্যুর জন্য এদিনের ওই যোগদান অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, বিপ্লব মিত্র তৃণমূল কংগ্রেস করতেন। তারপর বিরোধী রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন। সেখান থেকে আবার আমাদের দলে ফিরছেন। বিপ্লববাবু জেলায় ফিরলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও কিছু ভাবছি না। তিনি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ। তিনি তৃণমূলে ফিরছেন, সেটা আমাদের দলের কাছে ভালো খবর। এর থেকে বেশি কিছু নয়।
তবে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন। তিনি বলেন, বিপ্লববাবু আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর রাজনৈতিক কৌশলে আমরা বুনিয়াদপুর পুরসভা দখল করেছি। জেলায় ফিরলে বুনিয়াদপুর পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলররা বিপ্লববাবুকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। হরিরামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য মনোজিৎ দাস বলেন, বিপ্লববাবু দলে ফেরায় আমরা স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তিনি আবার তৃণমূলে যোগ দিলে দলের কর্মী-সমর্থকরা একটু বাজি-পটকা তো ফাটাবেই। আমরা নিজেদের মধ্যে আনন্দ করব।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, আমরা শুনেছি একটি রাজনৈতিক পালাবদলের ঘটনা রয়েছে। অতি উৎসাহে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা সতর্ক ছিলাম। মহকুমা পুলিস আধিকারিকও এদিন হরিরামপুরে ছিলেন।
বিপ্লব মিত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে তার ভাই প্রশান্ত মিত্রও কলকাতায় রয়েছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে দু’জনেরই একসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার কথা। বিপ্লববাবুরা গঙ্গারামপুর শহরে ফেরার পর তৃণমূল কর্মীরা বাজি-পটকা ফাটান, আবির খেলার পরিকল্পনা এখনই করে রেখেছেন।