কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার সচিন মক্কর বলেন, আমাদের পুলিস জেলার যে সমস্ত পিকনিক স্পট আছে সেই স্থানগুলিতে পুলিস পিকেট দেওয়া হয়েছে। মদ্যপ চালকদের ধরতে ইসলামপুর ও ডালখোলায় জাতীয় সড়কে সন্ধা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চলছে। লাইন হোটেলগুলিতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জাতীয় সড়কের ধারে বিভিন্ন ধাবা ও লাইন হোটেলে মদ বিক্রি করা হচ্ছে। ইসলামপুর ও ডালখোলা শহরের একাংশ রেস্তরাঁর কেবিনে বসছে মদের আসর। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিক্রিও বাড়তে থাকে। শহরের বাইরে একাধিক লাইন হোটেলে অবৈধভাবে মদের ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। নকল মদ বিক্রির জন্য পাঞ্জিপাড়া ও ডালখোলার পূর্ণিয়া মোড়ের কুখ্যাতি আগে থেকেই আছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এই ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মাঝেমধ্যে পুলিস অভিযানে কিছু নকল মদ উদ্ধার হলেও ফের এই ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে বলেই স্থানীয়রা জানাচ্ছেন।
ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিস প্রশাসন বহুবার তল্লশি চালিয়ে নকল বোতল, ছিপি ও বোতলের গায়ে লাগানোর লেবেল উদ্ধার করেছে। মাঝেমধ্যে দুই একজন গ্রেপ্তার হলেও অনেক সময়ই এই অবৈধ কারবারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নকল মদ তৈরি করে এগুলিকে পার্শ্ববর্তী বিহার সহ জেলার চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর ও ইসলামপুরের এলাকায় বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে লাইন হোটেলগুলিতে এর চাহিদা বেশি। ভিন রাজ্যের ট্রাক চালকেরা লাইন হোটেলগুলিতে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে মদও খান। বেশি লাভ করতে অনেকেই নকল মদ বিক্রি করে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি এইসব অবৈধ কারবার রুখতে পুলিস কঠোর ব্যবস্থা নিক। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, জাতীয় সড়কের ধারে এভাবে প্রকাশ্যে মদের কারবার চলায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ওইসব এলাকা দিয়ে মহিলাদের নিয়ে যাতায়াত করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। ওই সব জাতীয় সড়কের ধার ধরেই স্কুল কলেজের অনেক পড়ুয়া যাতায়াত করে। হাইওয়ের ওই পরিবেশের জন্য ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে মেয়েদের স্কুল কলেজে পাঠিয়ে অভিভাবকেরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না। সন্তান না ঘরে না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগে থাকতে হয় তাঁদের। এনিয়ে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।